কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রর বিরুদ্ধে ‘ঘুষের বিনিময়ে প্রশ্ন’ মামলায় বড়সড় মোড়। মহুয়ার বিরুদ্ধে সিবিআই-কে চার্জশিট জমা দেওয়ার যে অনুমতি লোকপাল দিয়েছিল, শুক্রবার তা খারিজ করে দিল দিল্লি হাইকোর্ট। বিচারপতি অনিল ক্ষেত্রপাল এবং বিচারপতি হরিশ বৈদ্যনাথ শঙ্করের ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, লোকপালের দেওয়া ওই নির্দেশ আইনি দিক থেকে ‘ভুল’।
আদালতের পর্যবেক্ষণে কেন খারিজ হলো নির্দেশ? আদালত রায় দিতে গিয়ে জানিয়েছে যে, লোকপাল যে নির্দেশে সিবিআই-কে চার্জশিট জমা দিতে বলেছিল, সেখানে প্রাসঙ্গিক আইন ও প্রক্রিয়ার সঠিক প্রয়োগ হয়নি।
ভুল ব্যাখ্যা: মহুয়ার আইনজীবী নিধেশ গুপ্ত আদালতে দাবি করেছিলেন, লোকপাল আগের একটি আদালতের পর্যবেক্ষণকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করে এই নির্দেশ জারি করেছে।
আইনি ত্রুটি: হাইকোর্ট সেই যুক্তিতে মান্যতা দিয়ে বলেছে, “ভুল বোঝাবুঝির ভিত্তিতে কোনও তদন্তমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করা যায় না।” আদালতের মতে, লোকপালের নির্দেশে যথেষ্ট আইনি অসংগতি রয়েছে।
রাজনৈতিক ও আইনি প্রভাব: এই রায়ের ফলে মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে তদন্ত পুরোপুরি বন্ধ না হলেও, সিবিআই এখনই চার্জশিট জমা দিতে পারছে না। আইনি বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার জন্য এক বড় ধাক্কা। তৃণমূল নেতৃত্ব আদালতের এই রায়কে ‘ন্যায়বিচারের জয়’ হিসেবে দেখছেন এবং অভিযোগ করেছেন যে মহুয়াকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার বানানো হচ্ছিল।
অন্যদিকে, বিজেপি এই ইস্যুতে শুরু থেকেই মহুয়ার বিরুদ্ধে অনৈতিক কাজের অভিযোগ তুলে সরব। তবে হাইকোর্টের এই নির্দেশের পর আপাতত কিছুটা রক্ষণাত্মক অবস্থানে থাকতে হতে পারে শাসক দলকে।