মহাবিপদ! ‘মন্থা’র তাণ্ডব, আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা, অন্ধ্র উপকূলে আছড়ে পড়বে বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড়

প্রবল শক্তিতে মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৫টা নাগাদ তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে ‘মন্থা’। মৌসম ভবনের পূর্বাভাস অনুযায়ী, এই বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড়টি এদিন সন্ধ্যায় বা রাতের দিকে অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলের মছলিপত্তনম ও কলিঙ্গপত্তনমের মধ্যবর্তী কাকিনাড়া সংলগ্ন এলাকায় আছড়ে পড়বে। ল্যান্ডফলের সময় মন্থার সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ থেকে ১০০ কিলোমিটার থাকার সম্ভাবনা, যা পরবর্তীকালে ১১০ কিলোমিটার পর্যন্ত পৌঁছতে পারে।

অন্ধ্রপ্রদেশ ও ওড়িশায় চরম দুর্যোগ:

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে ইতিমধ্যেই ঝড়বৃষ্টি শুরু হয়েছে। সমুদ্র উত্তাল হয়ে ওঠায় জলোচ্ছ্বাসের সতর্কতা জারি হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় অন্ধ্রপ্রদেশের ২২টি জেলায় ৩ হাজার ১৭৪টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে এবং উপকূলীয় অঞ্চল থেকে বাসিন্দাদের নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডু রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করে দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুতি খতিয়ে দেখেছেন। তিনি জানিয়েছেন, রাজ্যের ৩ হাজার ৭৭৮টি গ্রামে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি হয়েছে।

অন্যদিকে, ওড়িশাতেও ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে রাজ্যের দক্ষিণ ভাগের আটটি জেলায় ঝড়বৃষ্টি শুরু হয়েছে। গঞ্জাম, গজপটি, কোরাপুট, রায়গড়া এবং মালাকানগিরি জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। এই অঞ্চলগুলিতে জাতীয় ও রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যরা মোতায়েন রয়েছেন।

বাংলা ও ঝাড়খণ্ডে প্রভাব:

দিল্লির আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ‘মন্থা’র প্রভাবে পশ্চিমবঙ্গ এবং ঝাড়খণ্ডের একাধিক জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ঝাড়খণ্ডে আগামী ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা বলে বিপর্যয় মোকাবিলায় কেন্দ্রের তরফে সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy