‘মতুয়াদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা!’ মোদির বঙ্গ সফরকে ‘দিশাহীন’ ও ‘অমানবিক’ বলে তোপ কুণালের।

শনিবার নদিয়ার তাহেরপুরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভার্চুয়াল সভাকে কেন্দ্র করে রাজ্য রাজনীতিতে তুফানি বিতর্ক শুরু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর ভাষণকে ‘সম্পূর্ণ দিশাহীন’ ও ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ বলে আক্রমণ শানিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তাঁর অভিযোগ, একদিকে যখন ভোটার তালিকা থেকে ৫৮ লক্ষেরও বেশি নাম বাদ পড়ায় মতুয়া সম্প্রদায়ের মধ্যে নাগরিকত্ব হারানোর আতঙ্ক ছড়িয়েছে, তখন প্রধানমন্ত্রী এই জ্বলন্ত সমস্যা নিয়ে একটি শব্দও খরচ করেননি।

তৃণমূলের দাবি, সিএএ (CAA)-র নামে ভাঁওতা দিয়ে আদতে মতুয়াদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার ষড়যন্ত্র করছে বিজেপি। কুণাল ঘোষ পরিসংখ্যান তুলে ধরে জানান, খসড়া ভোটার তালিকায় প্রায় ৫৮.২০ লক্ষ নাম বাদ পড়েছে, যার বড় অংশই মতুয়া ও প্রান্তিক হিন্দু সমাজ। এমনকি বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলি থেকে ভারতীয় নাগরিকদের বাংলাদেশে ‘পুশব্যাক’ করার ঘটনা নিয়েও প্রধানমন্ত্রী নীরব কেন, সেই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।

অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রীর সভায় আসার পথে ট্রেন দুর্ঘটনায় তিন বিজেপি কর্মীর মৃত্যু নিয়েও সুর চড়িয়েছে ঘাসফুল শিবির। কুণালের অভিযোগ, “বিজেপির অব্যবস্থাপনার কারণেই এই প্রাণহানি, অথচ মোদিজি তাঁদের জন্য শোকপ্রকাশ পর্যন্ত করলেন না।” পাল্টা আক্রমণে প্রধানমন্ত্রী রাজ্যকে ‘মহাজঙ্গলরাজ’ বলে কটাক্ষ করলেও, তৃণমূলের দাবি—বাংলার পাওনা টাকা আটকে রেখে আসলে উন্নয়নে বাধা দিচ্ছে কেন্দ্রই। ২০২৬-এর আগে মতুয়া ভোটব্যাঙ্ক ঘিরেই এখন সরগরম বাংলার রাজনীতি।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy