ভিনগ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব (Extraterrestrial Life) আছে কি না, তা নিয়ে মানুষের কৌতূহল অন্তহীন। এই বিষয়ে আমেরিকা সহ বিশ্বজুড়ে বহু দাবি উঠেছে। হিসেব অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত আমেরিকায় নাকি ১ লক্ষ ২৬ হাজার বার ইউএফও (UFO) বা আনআইডেন্টিফায়েড ফ্লাইং অবজেক্ট (Unidentified Flying Object) দেখা যাওয়ার দাবি করা হয়েছে।
ভারতে এমন ঘটনা নতুন নয়। যেমন ২০০৭ সালে কলকাতার আকাশে ‘ফায়ারবল’ দেখা গিয়েছিল বলে দাবি করা হয়েছিল। এছাড়াও, সম্প্রতি ইম্ফল বিমানবন্দরের কাছে ইউএফও দেখা যাওয়ার রিপোর্ট এসেছিল, যদিও আকাশে উড়ে যাওয়া রাফাল বিমান কিছু খুঁজে পায়নি।
রহস্যময় ‘৩আই/অ্যাটলাস’ (3I/Atlas)
বর্তমানে রহস্য ঘনিয়ে উঠেছে ৩আই/অ্যাটলাস (3I/Atlas)-কে নিয়ে। এটি দেখতে অনেকটা ধূমকেতুর মতো। এর অদ্ভুত আচরণের কারণে জল্পনা উঠেছে—তবে কি এবার সত্যিই সৌরজগতে ঢুকে পড়েছে ভিনগ্রহের প্রাণীরা? এটি কি কোনও মহাকাশযান?
স্বরূপ: এটি দেখতে ধূমকেতুর মতো হলেও, এর গতিবিধি এবং বৈশিষ্ট্যের কারণে এটিকে ভিনগ্রহের মহাকাশযান (Alien Spacecraft) হওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।
কেন রহস্য: এর নামেই রয়েছে ‘৩আই’ (3I), যা নির্দেশ করে এটি সৌরজগতের বাইরের আন্তঃনাক্ষত্রিক বস্তু (Interstellar Object)। এই ধরনের বস্তু সচরাচর দেখা যায় না। এর আগে কেবল ‘ওউমুয়ামুয়া’ (Oumuamua)-এর মতো হাতেগোনা কিছু আন্তঃনাক্ষত্রিক বস্তুকে দেখা গিয়েছিল।
জল্পনা: বিজ্ঞানীরা এখনও এটিকে ধূমকেতু হিসেবেই দেখছেন। তবে অনেকে মনে করেন, ‘ওউমুয়ামুয়া’-এর মতো এই ৩আই/অ্যাটলাসও হতে পারে ভিনগ্রহীদের পাঠানো কোনো মহাকাশযান বা তাদের প্রযুক্তির অংশ। এই জল্পনাটি বিজ্ঞানী মহলে বিতর্কিত হলেও, সাধারণ মানুষের মধ্যে কৌতূহল বাড়িয়েছে।
সৌরজগতে আন্তঃনাক্ষত্রিক বস্তুর প্রবেশ নিঃসন্দেহে বিরল ঘটনা, আর এর অস্বাভাবিক গতিবিধিই ‘ভিনগ্রহের প্রাণী’ বা ‘মহাকাশযান’ সংক্রান্ত জল্পনাকে উসকে দিয়েছে। এই রহস্যের সঠিক উত্তর দিতে বিজ্ঞানীরা এখনও ৩আই/অ্যাটলাসের গতিপথ ও বৈশিষ্ট্য নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন।