আফগানিস্তানের তালিবানদের সঙ্গে বিগত কয়েকদিন ধরে সীমান্তে সংঘর্ষের জেরে উত্তপ্ত পাকিস্তান। এই পরিস্থিতির মধ্যেই সে দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে, ভারত ‘সীমান্তে নোংরা খেলা খেলতে পারে’। এর পাশাপাশি তাঁর দাবি, পাকিস্তান ‘দ্বিমুখী যুদ্ধ’-এর জন্য প্রস্তুত।
পাকিস্তানের স্থানীয় গণমাধ্যমের একটি সাক্ষাৎকারে আসিফকে সীমান্তে ভারতের উস্কানির সম্ভাবনা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, “না, একেবারেই, আপনি এটিকে উড়িয়ে দিতে পারবেন না। শক্তিশালী সম্ভাবনা রয়েছে।”
অনুষ্ঠানের উপস্থাপক তাঁকে আরও জিজ্ঞেস করেন যে পাকিস্তান ‘দ্বিমুখী যুদ্ধ’-এর জন্য প্রস্তুত কি না। উত্তরে প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, “হ্যাঁ, কৌশলগুলি তৈরি করা হয়েছে। আমি প্রকাশ্যে সেগুলি নিয়ে আলোচনা করতে পারি না, তবে আমরা যে কোনও পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত।”
সংঘাত এবং যুদ্ধবিরতি
গত সপ্তাহে কাবুলে পাকিস্তানের বিমান হামলার পর পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে সামরিক সংঘাত শুরু হয়, যেখানে উভয় পক্ষেরই অনেক হতাহত হয়। যদিও বুধবার দুই দেশ একটি অস্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে।
আসিফের অভিযোগ: আফগান বাহিনীর সঙ্গে সাম্প্রতিক সংঘর্ষে সীমান্তে পাকিস্তানের দুর্বলতা প্রকট হয়েছে। আসিফ এর আগে আফগানিস্তানের তালিবান সরকার ভারতের হয়ে ‘প্রক্সি যুদ্ধ’ লড়ছে বলে দোষারোপ করেছিলেন। তিনি এই অঞ্চলে অস্থিতিশীলতার জন্য ভারতকে দায়ী মনে করেন।
তালিবানের দাবি: আফগানিস্তানের তালিবান সরকারের প্রধান মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ বলেছেন যে পাকিস্তানি পক্ষের জোরাজুরিতে এই যুদ্ধবিরতি হয়েছে।
জঙ্গি সংগঠন নিয়ে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ
ইসলামাবাদ এই সংঘর্ষের জন্য দায়ী করেছে পাক বিরোধী জঙ্গি সংগঠন তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি)-কে। ইসলামাবাদের অভিযোগ, আফগানিস্তানের মাটিতে টিটিপি-কে মদত দেওয়া হচ্ছে।
যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করে উল্টো ইসলামাবাদকে সতর্ক করেছে তালিবানরা। তাদের অভিযোগ, পাকিস্তান নাকি তাদের দেশে তালিবানদের প্রধান সশস্ত্র প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামিক স্টেট গ্রুপের (আইএসআইএস) স্থানীয় শাখাকে আশ্রয় দিচ্ছে।
