তামিলনাড়ুর কুড্ডালোরে বুধবার রাতে এক ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন অন্তত ৯ জন। রাজ্য এক্সপ্রেস পরিবহন কর্পোরেশন (SETC)-এর একটি বাসের চাকা ফেটে যাওয়ার ফলেই এই মর্মান্তিক বিপত্তি ঘটে। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি ডিভাইডার ভেঙে উল্টো দিকের লেনে ঢুকে পড়লে এই রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
কীভাবে ঘটল এই দুর্ঘটনা? পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, SETC-এর এক্সপ্রেস বাসটি বুধবার রাতে ত্রিচি থেকে চেন্নাইয়ের দিকে যাচ্ছিল। কুড্ডালোর জেলার থিত্তাকুডির কাছে এজুন্থুর এলাকায় পৌঁছলে হঠাৎ বাসের সামনের একটি চাকা ফেটে যায়। এর ফলে চালক বাসের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। বাসটি রাস্তার মাঝখানের ব্যারিকেড ভেঙে সরাসরি বিপরীত লেনের ট্রাফিকের মধ্যে ঢুকে পড়ে। সেই সময় উল্টো দিক থেকে আসা দুটি চারচাকা গাড়ির সঙ্গে বাসটির মুখোমুখি প্রচণ্ড সংঘর্ষ হয়।
ঘটনাস্থলেই ৭ জনের মৃত্যু: ধাক্কার তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে দুটি গাড়িই বাসের নিচে পিষ্ট হয়ে যায়। দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া গাড়ির ভেতরেই আটকে পড়েন যাত্রীরা। ঘটনাস্থলেই চার মহিলা এবং এক শিশুসহ সাতজন প্রাণ হারান। খবর পেয়ে থিত্তাকুডি এবং রামানথম থানার পুলিশ স্থানীয়দের সহযোগিতায় উদ্ধারকাজ শুরু করে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর আরও দুজনের মৃত্যু হয়, ফলে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৯। মৃতদের মধ্যে ৪ জন পুরুষ, ৪ জন মহিলা এবং একটি শিশু রয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রীর শোক ও আর্থিক সাহায্য: এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম.কে. স্ট্যালিন। নিহতদের পরিবারকে সমবেদনা জানিয়ে তিনি মুখ্যমন্ত্রী ত্রাণ তহবিল থেকে মৃতদের প্রত্যেকের পরিবারকে ৩ লক্ষ টাকা এবং গুরুতর আহতদের ১ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা করেছেন।
বর্তমানে আহত চারজনের অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। দেহগুলি এতটাই বিকৃত হয়ে গিয়েছে যে শনাক্ত করতে দীর্ঘ সময় লাগছে। দুর্ঘটনার জেরে চেন্নাই-ত্রিচি জাতীয় সড়কে প্রায় দুই ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ ছিল। ক্রেন দিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত গাড়িগুলি সরিয়ে নেওয়ার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।