সব জল্পনা ও বিতর্কের অবসান ঘটিয়ে বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধির পাশেই চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদি। সম্প্রীতির কবির পাশে হাদির মতো চরমপন্থী নেতার সমাধি নিয়ে বিভিন্ন মহলে তীব্র আপত্তি থাকলেও, শেষ পর্যন্ত হাদির পরিবারের দাবিকেই মান্যতা দিয়েছে মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার। শনিবার রাষ্ট্রীয় শোকের আবহে ঢাকার মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতিতে শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।
নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা রাজধানী: সকাল থেকেই মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ ও সংসদ ভবন চত্বরে ভিড় জমাতে শুরু করেন অনুগামীরা। হাতে জাতীয় পতাকা নিয়ে খুনিদের শাস্তির দাবিতে চলে স্লোগান। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশের পাশাপাশি মোতায়েন ছিল বিজিবি। কোনো সংগঠনের পতাকা আনার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল খোদ ইনকিলাব মঞ্চ। বিএনপি সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা এই জানাজায় অংশ নেন।
থমথমে পরিস্থিতি ও সাইবার নজরদারি: হাদির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ঢাকা ও চট্টগ্রামে ভারতীয় উপ-হাইকমিশনে হামলার পর দেশজুড়ে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। নতুন করে অশান্তি রুখতে ফেসবুক ও সোশ্যাল মিডিয়ায় কড়া নজরদারি চালাচ্ছে ন্যাশনাল সাইবার সিকিউরিটি সংস্থা। আপত্তিকর পোস্ট দেখলেই অভিযোগ জানানোর আর্জি জানানো হয়েছে। এরই মাঝে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার আশঙ্কায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ওয়াকিবহাল মহল।