মুর্শিদাবাদে বাবরি মসজিদের আদলে মসজিদ বানানোর মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক আরও ঘনীভূত হওয়ায় শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস অবশেষে কঠোর পদক্ষেপ নিল। দলের বিধায়ক হুমায়ুন কবীরকে সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বর্ষীয়ান নেতা ও মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
সাসপেনশনের কারণ:
দলের তরফে জানানো হয়েছে:
পূর্ব সতর্কতা: কবিরকে এর আগেও তাঁর বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য সতর্ক করা হয়েছিল।
নির্দেশ অমান্য: মন্তব্য প্রত্যাহার করে আচরণে সংশোধন আনার নির্দেশ দেওয়া হলেও তিনি কোনো ব্যবস্থা নেননি।
শৃঙ্খলাভঙ্গ: বাবরি মসজিদ সংক্রান্ত মন্তব্য ছাড়াও ৬ ডিসেম্বর এনএইচ ৩৪ “মুসলিমদের নিয়ন্ত্রণে” থাকবে বলে হুমায়ুন কবীর দাবি করেন, যা দলের নীতি ও অবস্থানের পরিপন্থী। শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে তাঁকে দল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হলো।
হুমায়ুন কবীরের পাল্টা ঘোষণা:
সাসপেনশনের খবর পাওয়ার পরই পাল্টা সুরে তেড়ে কথা বলেন হুমায়ুন কবীর। সংবাদমাধ্যমকেই তিনি জানান, দল থেকে সাসপেন্ডের সিদ্ধান্ত মানছেন না।
তাঁর কঠোর ঘোষণা:
ইস্তফা ও নতুন দল: “আমি দলে এসেছি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে। তিনি যদি আমাকে থাকতে না বলেন, আমি থাকব না। মিডিয়া থেকেই সাসপেনশনের কথা জানলাম। আগামীকালই তৃণমূল থেকে ইস্তফা দেব।”
লড়াইয়ের অঙ্গীকার: তিনি জানান, ২২ ডিসেম্বর তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে নিজের নতুন রাজনৈতিক দল গড়বেন এবং “বিজেপি ও তৃণমূল উভয়ের বিরুদ্ধেই লড়াই চালিয়ে যাব।”
আগামী বছরের বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে তৃণমূলের এই সিদ্ধান্ত এবং হুমায়ুন কবীরের পাল্টা ঘোষণা রাজ্য রাজনীতিতে নতুন নাটকীয়তা এনে দিল, যা আগামী দিনে রাজনৈতিক সমীকরণকে প্রভাবিত করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।