‘বাবরি মসজিদ’ নামেই যত আপত্তি! বেলডাঙার মসজিদ বিতর্ক নিয়ে মুখ খুললেন পদ্মশ্রী প্রাপ্ত কার্তিক মহারাজ

মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায় তৃণমূল থেকে সাসপেন্ড হওয়া বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের প্রস্তাবিত ‘বাবরি মসজিদ’ নির্মাণ ঘিরে আবারও বিতর্ক শুরু হয়েছে। এই বিতর্কের কেন্দ্রে রয়েছে মসজিদ বা ধর্ম নয়, বরং মসজিদটির জন্য নির্বাচিত ‘বাবরি মসজিদ’ নামটি, যার সঙ্গে জড়িত ইতিহাস এবং বিতর্ক। সম্প্রতি এই প্রসঙ্গে স্পষ্ট মন্তব্য করেছেন পদ্মশ্রী প্রাপ্ত ধার্মিক কার্তিক মহারাজ (Kartik Maharaj)।

‘বাবরি’ নামটিতে আপত্তির কারণ:

হুমায়ুন কবীর যখন বেলডাঙার ভারত সেবাশ্রম অফিসের আশেপাশে জমি দেখার সময় ‘বাবরি মসজিদ’ তৈরির ভাবনাটি প্রকাশ করেছিলেন, তখন থেকেই এই নামকরণে আপত্তি তোলা হয়। কার্তিক মহারাজ বলেছেন, “আমি একজন ধার্মিক মানুষ। সনাতন ধর্মাবলম্বী। মন্দির-মসজিদ নিয়ে আমার কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু এই ‘বাবরি মসজিদ’ নামটায় আপত্তি রয়েছে। এর সঙ্গে অনেক বিতর্ক, ইতিহাস জড়িয়ে রয়েছে। তাই নামটি বাদ দিয়ে করলে ভাল হত।” তাঁর মতে, নাম পরিবর্তন করলে পরিস্থিতি অনেক সহজ হয়ে যেত এবং কেউ ক্ষুণ্ণ হতো না।

হুমায়ুন কবীরের রাজনৈতিক অবস্থান:

হুমায়ুন কবীরের সঙ্গে তৃণমূলের সম্পর্ক নিয়ে বিতর্ক প্রসঙ্গে কার্তিক মহারাজ জানান যে, হুমায়ুনের সঙ্গে তৃণমূলের সম্পর্ক যেমন ছিল, তেমনই বিজেপির সঙ্গেও তাঁর কিছুটা সম্পর্ক রয়েছে। তিনি বলেন, “উনি তৃণমূলে ছিলেন। বিজেপিতেও এসেছিলেন। মানুষ হিসাবে আমাদের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে।”

তৃণমূল নেতৃত্বের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন:

কার্তিক মহারাজ আরও মনে করেন, ভরতপুরের প্রতিবাদী বিধায়ককে তৃণমূল সুপ্রিমোর আগেই বোঝানো উচিত ছিল। তিনি বলেন, “হুমায়ুন যখন ৩০ শতাংশ, ৭০ শতাংশ বলেছেন, তখনই দলনেত্রীর ওনাকে বোঝানো উচিত ছিল। সত্যি বলতে, হিন্দুরা মুসলিমদের দেশ থেকে তাড়িয়ে দেবে বা মুসলিমরা হিন্দুদের তাড়াবে, এই ধরনের ধারণা এখন বাস্তবে নেই।”

বর্তমানে রাজ্যের রাজনীতিতে হুমায়ুন কবীরের বাবরি মসজিদ নিয়ে উত্তেজনা থাকলেও, কার্তিক মহারাজ গোটা ঘটনাকে সরলভাবে দেখার পরামর্শ দিয়েছেন।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy