শনিবার প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে কৃষ্ণনগরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সভা পণ্ড হওয়াকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক তর্জা তুঙ্গে। প্রধানমন্ত্রীর কপ্টার নামতে না পারায় বিমানবন্দর থেকেই অডিও বার্তায় বক্তব্য পেশ করেন তিনি। আর এই সফরকেই ‘শারীরিক ও নৈতিক’ ভাবে চূড়ান্ত ব্যর্থ বলে আক্রমণ শানাল তৃণমূল কংগ্রেস।
তৃণমূল ভবনে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে মন্ত্রী ব্রাত্য বসু, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ও সাংসদ মমতা বালা ঠাকুর প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ‘অমানবিকতার’ অভিযোগ তোলেন। তাঁদের দাবি:
-
কর্মীদের মৃত্যুতে উদাসীনতা: সভায় আসার পথে দুর্ঘটনায় মৃত তিন বিজেপি কর্মীর জন্য প্রধানমন্ত্রী একটি শব্দও খরচ করেননি। অথচ তৃণমূল নেতৃত্বই তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছে।
-
মতুয়াদের সঙ্গে প্রতারণা: মতুয়া গড় কৃষ্ণনগরে এসেও নাগরিকত্ব বা সিএএ নিয়ে কোনো আশ্বাস দেননি প্রধানমন্ত্রী। মমতা বালা ঠাকুরের দাবি, বিজেপি হিন্দুদের স্বার্থের সবথেকে বেশি ক্ষতি করছে।
-
আচরণবিধি ভঙ্গ: বিমানবন্দরের মতো সংরক্ষিত এলাকায় বসে রাজনৈতিক ভাষণ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনী বিধি ভেঙেছেন বলে অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল।
মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের কটাক্ষ, “চৈতন্য মহাপ্রভুর মাটি তাঁকে স্পর্শ করতে দেয়নি, একেই বলে প্রকৃতির বিচার।” ব্রাত্য বসু মোদির বাংলা উচ্চারণ নিয়ে বিদ্রুপ করে বলেন, যিনি ‘বঙ্কিম দা’ আর ‘বঙ্কিম বাবু’র তফাত বোঝেন না, তিনি বাংলা জয়ের স্বপ্ন দেখছেন।