সরকারি দপ্তরে নতুন আধিকারিক এলে ফুলের তোড়া আর পুষ্পস্তবকের বন্যা বয়ে যাওয়াটাই দস্তুর। কিন্তু সেই চেনা ছবিটা বদলে দিলেন রামপুরহাটের নতুন মহকুমা শাসক (SDO) অশ্বিনী বি রাঠোর। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই তাঁর টেবিলে জমা হচ্ছিল রাশি রাশি দামী ফুলের তোড়া। যা কয়েক ঘণ্টা পর শুকিয়ে ডাস্টবিনে স্থান পায়। এই অপচয় রুখতেই এক মানবিক ও বৈপ্লবিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
নিজের অফিসের বাইরে একটি বিশেষ নোটিস ঝুলিয়েছেন এসডিও। যেখানে স্পষ্ট লেখা— তাঁকে অভিনন্দন জানাতে যেন কেউ আর ফুলের তোড়া না আনেন। পরিবর্তে যদি কেউ মিষ্টি বা খাদ্যসামগ্রী নিয়ে আসেন, তবে তা পাঠিয়ে দেওয়া হবে দৃষ্টিহীন পড়ুয়াদের স্কুল ‘দৃষ্টিদীপ শিক্ষানিকেতন’-এ।
কেন এমন ভাবনা? অশ্বিনী বি রাঠোর জানান, সম্প্রতি তিনি ওই স্কুলে গিয়ে ৩৯ জন দৃষ্টিহীন শিশুর সঙ্গে সময় কাটিয়েছেন। সামান্য কিছু পেলেই তাদের মুখে যে চওড়া হাসি ফোটে, তা দেখে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন তিনি। রাজ্য সরকার সাহায্য করলেও, ব্যক্তিগত স্তরে ওই শিশুদের জন্য কিছু করার তাগিদ থেকেই এই উদ্যোগ। ৩০০-৪০০ টাকা দিয়ে ফুল কিনে নষ্ট না করে, সেই টাকায় আনা মিষ্টি এখন পৌঁছে যাচ্ছে অনাথ ও বিশেষভাবে সক্ষম শিশুদের কাছে। জেলা শাসকের এই সংবেদনশীল পদক্ষেপে খুশির হাওয়া গোটা বীরভূমে।