উত্তরপ্রদেশে একটি মর্মান্তিক খুনের ঘটনায় ১২ বছর বয়সি এক নাবালককে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। নিখোঁজ এই নাবালকের গলা এবং গোপনাঙ্গ কাটা ক্ষতবিক্ষত, রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের ঝাঁসিতে একটি ফার্মের ভেতর থেকে।
পরিবারের অভিযোগ ও গ্রেপ্তার:
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নাবালকটি রবিবার সন্ধ্যা থেকে নিখোঁজ ছিল। পরিবারের সদস্যরা খোঁজাখুঁজি করতে গিয়ে সোমবার ফার্মটিতে তল্লাশি চালানোর সময় তার ক্ষতবিক্ষত দেহটি দেখতে পান।
মৃত নাবালকের পরিবারের অভিযোগ, নৃশংসভাবে এই খুনের নেপথ্যে রয়েছেন তারই কাকা অবতার এবং কাকিমা মঞ্জু।
পরিবারের দাবি, দাদার উপর প্রতিশোধ নিতেই কাকা ও কাকিমা ভাইপোকে খুন করেছেন। ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক ঝামেলার কারণেই এই প্রতিশোধমূলক হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে।
পুলিশ ইতিমধ্যেই দুই অভিযুক্ত কাকা ও কাকিমাকে গ্রেপ্তার করেছে এবং তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। খুনের প্রকৃত কারণ খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
যে ঘর থেকে নাবালকের দেহ উদ্ধার হয়েছে, সেখানে ফরেন্সিক টিম পৌঁছে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষানিরীক্ষা শুরু করেছে।
মালদহের পুরনো ঘটনা:
প্রসঙ্গত, এই ধরনের গোপনাঙ্গ কাটার আরেকটি ঘটনা গত মে মাসে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর থানার সাদলিচক গ্রাম পঞ্চায়েতের বালুচর গ্রামে ঘটেছিল।
সেখানে আব্দুল রহমান (৩৮) নামে এক ব্যক্তি তাঁর রাগ করে বাপের বাড়ি চলে যাওয়া স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনতে গিয়েছিলেন।
শ্বশুরবাড়িতে স্ত্রীর সঙ্গে তুমুল অশান্তির একপর্যায়ে স্ত্রী ধারালো অস্ত্র দিয়ে আব্দুলের গোপনাঙ্গ কেটে ফেলেন বলে অভিযোগ ওঠে।
গুরুতর আহত অবস্থায় আব্দুলকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল এবং তাঁর শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল।
এ ঘটনায় স্ত্রীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল।