ডেটিং অ্যাপে আলাপের সূত্র ধরে ঘনিষ্ঠ হওয়া এক তরুণীর দায়ের করা ধর্ষণের অভিযোগ বাতিল করে দিল কর্নাটক হাইকোর্ট। আদালতের পর্যবেক্ষণ, দুই প্রাপ্তবয়স্কের পারস্পরিক সম্মতিতে গড়ে ওঠা সম্পর্ক ভেঙে গেলে, তাকে ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে গণ্য করা যায় না, যদি না সেখানে অন্য কোনো ব্যতিক্রমী কারণ থাকে।
২৩ বছর বয়সী অভিযুক্ত যুবকের দাখিল করা আবেদন মঞ্জুর করে কর্নাটক হাইকোর্টের বিচারপতি এম নাগপ্রসন্ন বলেন, “পারস্পরিক ইচ্ছায় গড়ে ওঠা সম্পর্ক, তা হতাশার মধ্যে দিয়ে শেষ হলেও, অপরাধ হিসেবে গণ্য করা যায় না।”
অভিযোগ অনুযায়ী, ডেটিং অ্যাপে আলাপের পর ওই তরুণী ও অভিযুক্তের মধ্যে ইনস্টাগ্রামে প্রায় এক বছর ধরে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ চলে। গত ১১ অগস্ট, ২০২৪-এ সাক্ষাতের পর তাঁরা একসঙ্গে হোটেলে যান এবং সেখানে শারীরিক সম্পর্ক হয়। পরদিন তরুণী হাসপাতালে চিকিৎসা করান, যেখানে তাঁকে যৌন নির্যাতনের শিকার বলে জানানো হয়। এরপরই তিনি ভারতীয় ন্যায় সংহিতা (BNS)-এর ৬৪ ধারায় (ধর্ষণ) মামলা দায়ের করেন এবং অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়।
তবে অভিযুক্ত আদালতের কাছে দাবি করেন, তাঁদের মধ্যে সবকিছুই পারস্পরিক সম্মতিতেই হয়েছিল এবং এর প্রমাণ হিসেবে তাঁর কাছে ফটো, ভিডিও এবং চ্যাট মেসেজ রয়েছে। সব নথি ও চ্যাট রেকর্ড পর্যালোচনা করে বিচারপতি নাগপ্রসন্ন মন্তব্য করেন, “তাঁদের মধ্যে বিনিময় হওয়া বার্তাগুলি যদিও শালীন নয়, তবু তা স্পষ্ট করে যে ঘটনাগুলি সম্মতিক্রমেই ঘটেছিল।” এই পরিস্থিতিতে মামলাটিকে বিচারপর্যায়ে যেতে দিলে তা বিচারব্যবস্থার অপব্যবহার হবে বলে মন্তব্য করে আদালত অভিযুক্তের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া এফআইআর বাতিল করার নির্দেশ দেয়।