শীতের আগমন হলেও জঙ্গলমহলে ধীরে ধীরে কমতে দেখা যাচ্ছে পরিযায়ী পাখির সংখ্যা। আলোর ঝলকানি ও কোলাহলে পক্ষীকূলের আগমন কমে যাওয়ায় চিন্তিত ছিল পুরুলিয়া বন বিভাগ। তাই পরিযায়ী পাখিদের জন্য এক বিশেষ এবং অভিনব উদ্যোগ নিল তারা।
পরিবেশবান্ধব কৃত্রিম বাসা:
পরিযায়ী পাখিদের ফিরিয়ে আনতে পুরুলিয়া বনবিভাগ মাঠা বনাঞ্চলে গাছে গাছে বিশেষ পরিবেশবান্ধব কৃত্রিম বাসা স্থাপন করেছে। এই বাসাগুলি দেখতে অনেকটা বনদফতরের বানানো ক্যামোফ্লেজের মতো। একটি বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে যৌথভাবে এই কাজ করছে বনবিভাগ।
বন দফতরের বক্তব্য ও পরিকল্পনা:
পুরুলিয়া বন বিভাগের ডিএফও অঞ্জন গুহ এ বিষয়ে বলেন:
উদ্দেশ্য: শীতের মরশুমে বহু পরিযায়ী পাখি মাঠা বনাঞ্চলে আসে। তাদের যাতে থাকতে সুবিধা হয়, সেই কারণে এই পরিবেশবান্ধব কৃত্রিম পাখির বাসা তৈরি করা হয়েছে।
সুবিধা: পাখি যাতে ঠিকঠাক ভাবে ওই বাসায় প্রবেশ করতে পারে ও বেরোতে পারে, তার ব্যবস্থা নেওয়া আছে। এই কৃত্রিম বাসা থাকলে পক্ষীকুলের সংখ্যা যেমন বাড়বে, তেমনই পুরুলিয়ার পর্যটনও সমৃদ্ধ হবে।
পর্যটন আকর্ষণ: তিনি এই উদ্যোগকে পুরুলিয়ার পর্যটনে একটি নতুন প্রচেষ্টা বলে উল্লেখ করেন।
সম্প্রসারণ: আপাতত ১০টি বাসা দিয়ে এই কাজ শুরু করা হয়েছে। আগামী দিনে অযোধ্যা রেঞ্জ ও অন্যান্য পর্যটন কেন্দ্র যেখানে বড় বড় গাছ রয়েছে, সেই সমস্ত জায়গাতেও এই কৃত্রিম পাখির বাসা রাখা হবে।
পর্যটন মানচিত্রে নতুন আকর্ষণ:
জঙ্গলমহল পুরুলিয়া রাজ্য পর্যটন মানচিত্রে প্রথম সারিতেই নাম থাকে। শীতে এখানে রক ক্লাইম্বিং, নেচার ক্যাম্প ও নেচার এক্সপ্লোর করার জন্য পর্যটকদের ঢল নামে। বন বিভাগ মনে করছে, এই কৃত্রিম পাখির বাসাগুলি পর্যটকদের কাছে অন্যতম আকর্ষণ হয়ে উঠবে।