নয়াদিল্লি: ভারতের নির্মাণ (Construction) খাতে জোরালো উত্থানের ফলে উত্তরপ্রদেশ (UP) এবং বিহারের অর্থনীতিতে শক্তিশালী বৃদ্ধি পরিলক্ষিত হচ্ছে। এইচডিএফসি ব্যাঙ্কের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২৪ অর্থবর্ষে (FY24) এই দুটি রাজ্যেই নির্মাণ খাতের অবদান তাদের মোট মূল্য সংযোজন (GVA)-এ দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মহামারীর পরবর্তী সময়ে সরকারি পরিকাঠামো উন্নয়নে জোর দেওয়ার কারণেই উত্তরপ্রদেশ এবং বিহারে নির্মাণ ক্ষেত্র দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে।
সর্বভারতীয় গড়ের চেয়েও এগিয়ে
রিপোর্ট অনুযায়ী, উত্তরপ্রদেশ GVA-এর ১৩.৪ শতাংশ এবং বিহার ১১.২ শতাংশ নির্মাণ ক্ষেত্র থেকে অর্জন করেছে, যা সর্বভারতীয় গড় ৮.৯ শতাংশকে অনেক বেশি পিছনে ফেলে দিয়েছে। এটি প্রমাণ করে যে, নির্মাণ ক্ষেত্র এই দুটি রাজ্যের সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক বৃদ্ধির প্রধান চালক হয়ে উঠেছে।
২০২৪ অর্থবর্ষে ভারতের নির্মাণ GVA-তে সবচেয়ে বেশি অবদান রাখা রাজ্য হিসাবে উঠে এসেছে উত্তরপ্রদেশ, যেখানে তার হিস্যা ১২.৫ শতাংশ। এর পরে রয়েছে তামিলনাড়ু (১১.৮ শতাংশ) এবং মহারাষ্ট্র (১০ শতাংশ)।
এই দুটি রাজ্যই কেন্দ্রীয় সরকারের পুঁজি বিনিয়োগ প্রকল্পের জন্য সুদ-মুক্ত ঋণের সুবিধাভোগীদের মধ্যে শীর্ষ ৩-এ রয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
ইউপি-বিহারের ঐতিহাসিক প্রত্যাবর্তন
উত্তরপ্রদেশের নির্মাণ খাতে এই উল্লম্ফন গত কয়েক বছরের তুলনায় এক শক্তিশালী প্রত্যাবর্তনকে চিহ্নিত করে। ২০১২ অর্থবর্ষে রাজ্যের মোট GVA-তে নির্মাণ খাতের অবদান ছিল প্রায় ১২ শতাংশ, যা ২০২৪ অর্থবর্ষে বেড়ে ১৩.৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। এটি পরিকাঠামো এবং আবাসন খাতে ব্যাপক সরকারি ব্যয়ের ইঙ্গিত দেয়।
বিহারও স্থিতিশীল পুনরুদ্ধার দেখিয়েছে। কয়েক বছরের দুর্বল বৃদ্ধির পর, ২০২৪ অর্থবর্ষে তার নির্মাণ খাতের হিস্যা ১১.২ শতাংশে পৌঁছেছে। বিশেষ করে আবাসন, সড়ক ও নগর উন্নয়ন কর্মসূচির মতো সরকারি নেতৃত্বাধীন প্রকল্পগুলিতে গণ বিনিয়োগের (public investment) বৃদ্ধিই এই পুনরুদ্ধারের মূল কারণ।
এই তথ্য স্পষ্টভাবে তুলে ধরে যে নির্মাণ কার্যকলাপ কীভাবে আঞ্চলিক অর্থনীতির—বিশেষ করে উত্তর ভারতের—একটি মূল বৃদ্ধির চালক হয়ে উঠেছে, যা কৃষি ও উৎপাদন খাতের দুর্বলতাকে কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করছে।