হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেডের (HAL) চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর ডিকে সুনীল শুক্রবার তেজস লাইট কমব্যাট এয়ারক্রাফটের (LCA) শক্তিশালী সুরক্ষা বৈশিষ্ট্যের ওপর আবারও জোর দিয়েছেন। তিনি বলেন, বিমানটি “একেবারে নিরাপদ” এবং দুবাই এয়ারশো-তে দুর্ঘটনাটি একটি “দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা” যা বিমানের ভবিষ্যৎ ব্যবহারে কোনো প্রভাব ফেলবে না।
‘তেজসে কোনো সমস্যা নেই, সেফটি রেকর্ড বিশ্বের সেরা’
ANI-এর ন্যাশনাল সিকিউরিটি সামিটে বক্তব্য রাখতে গিয়ে HAL চেয়ারম্যান দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, “তেজসে কোনো সমস্যা নেই, এটি একেবারে নিরাপদ এবং এর সেফটি রেকর্ড বিশ্বের সেরা। দুবাইতে যা দেখেছেন তা একটি দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা।”
HAL চেয়ারম্যান গবেষণার কথা উল্লেখ করে বলেন, ভারত দেশীয়ভাবে লেটেস্ট ক্ষমতাসম্পন্ন একটি ৪.৫ প্রজন্মের বিমান তৈরি করেছে, যা অত্যন্ত গর্বের বিষয়। তিনি বলেন, “আমার মনে হয়, দেশগুলো যখন নিজেদের প্রযুক্তি তৈরি করে এবং বিকশিত হয়, তখন আমরা বিভিন্ন পর্যায়ের মধ্যে দিয়ে যাই। এটি একটি বিরাট সাফল্য এবং আমাদের সকলের এর জন্য গর্বিত হওয়া উচিত।”
HAL চেয়ারম্যান আরও বলেন, “আমার মনে হয়, সবসময়ই কিছু নিন্দুক থাকবে এবং প্রশ্ন তুলবে, কিন্তু এটা আমাদের শক্তিশালী হওয়া থেকে আটকাতে পারবে না। আমি আপনাদের পুরোপুরি আশ্বাস দিতে পারি যে এটি একটি একেবারে নিরাপদ বিমান এবং তেজসের ভবিষ্যতের ওপর এর কোনো প্রভাব পড়বে না।”
দুবাইয়ের দুর্ঘটনা:
দুবাই এয়ারশো-তে তেজস মার্ক-১ বিমানটি একটি লো-লেভেল অ্যারোবেটিক প্রদর্শনের সময় নিচে পড়ে গিয়ে বিধ্বস্ত হয়। এটি তেজসের সঙ্গে জড়িত দ্বিতীয় দুর্ঘটনা। বিমানটি একটি কম উচ্চতার “নেগেটিভ জি-টার্ন” থেকে রিকভার করতে ব্যর্থ হওয়ার ফলে দর্শকদের সামনে একটি মারাত্মক পতন এবং বিস্ফোরণ ঘটে। ভারতীয় বায়ুসেনা (IAF) নিশ্চিত করেছে যে উইং কমান্ডার নমাংশ সায়াল ইজেক্ট করতে পারেননি এবং এই ঘটনায় পাইলট প্রাণ হারান।
রফতানিতে জোর:
HAL চেয়ারম্যান ডিকে সুনীল বলেন, এই ভারতীয় কোম্পানি বিশ্বব্যাপী একটি বড় খেলোয়াড় হয়ে ওঠার প্রচেষ্টায় রফতানির দিকেও মনোযোগ দিচ্ছে। তিনি বলেন, “এটা সরকারের নীতি যে আমাদের বিশ্বব্যাপী হতে হবে। আমরা যে ক্ষমতা তৈরি করছি, এটা তারই একটি যৌক্তিক বিস্তার।”