সম্প্রতি বাংলাদেশে নৃশংস গণপিটুনির শিকার হওয়া হিন্দু যুবক দীপু চন্দ্র দাসের মৃত্যু নিয়ে একটি ভিডিও সমাজমাধ্যমে ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, এক ক্রন্দনরত যুবককে পুলিশ অফিসার উত্তেজিত জনতার হাতে তুলে দিচ্ছে। দাবি করা হচ্ছে, এটিই দীপু দাসের শেষ মুহূর্ত। তবে ফ্যাক্ট চেকিং সংস্থা ‘বুম’ (BOOM)-এর অনুসন্ধানে বেরিয়ে এল এক ভিন্ন সত্য।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ভাইরাল ভিডিওর ওই যুবক আসলে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী আব্দুল মোমিন। ভিডিওটি গত নভেম্বর মাসে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ চলাকালীন ধানমন্ডি এলাকায় ধারণ করা হয়েছিল। ভিডিওতে মোমিনকে ঢাকা কলেজের লোগো সম্বলিত জার্সি পরে পুলিশের কাছে প্রাণভিক্ষা করতে দেখা যায়। ঢাকা মহানগর পুলিশের আইজি শাহাদাত হোসেনও নিশ্চিত করেছেন যে, এই ভিডিওর সঙ্গে দীপু দাসের কোনো সম্পর্ক নেই।
উল্লেখ্য, গত ১৮ ডিসেম্বর ময়মনসিংহের ভালুকায় পোশাক কারখানার শ্রমিক দীপু চন্দ্র দাসকে ধর্মীয় অবমাননার অভিযোগে নৃশংসভাবে পিটিয়ে হত্যা করে উন্মত্ত জনতা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভারত ও বাংলাদেশের কূটনৈতিক মহলে উত্তেজনা বৃদ্ধি পায় এবং নয়াদিল্লি বাংলাদেশে তাদের একাধিক দূতাবাস বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়। তবে সঠিক তথ্যের বদলে একটি পুরনো ও অসম্পর্কিত ভিডিও ব্যবহার করে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়ানোর চেষ্টা চলছে বলে সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা।