তলব করল DGCA! ‘শত শত ফ্লাইট বাতিল’-এর দায়ে IndiGo-র ম্যানেজমেন্টকে চরম হুঁশিয়ারি বিমান নিয়ন্ত্রক সংস্থার

দেশের বৃহত্তম বিমান সংস্থা ইন্ডিগোর (IndiGo) পরিচালনগত বিশৃঙ্খলায় শতাধিক ফ্লাইট বাতিল এবং ব্যাপক বিলম্বের ঘটনায় অবশেষে কঠোর পদক্ষেপ নিল ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ সিভিল এভিয়েশন (DGCA)। বিমান নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি ইন্ডিগোর কর্মকর্তাদের তলব করেছে এবং অপারেশনাল সমস্যা নিয়ে তদন্ত চালিয়ে যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে।

✈️ দেশজুড়ে বিপর্যয়: বাতিল শতাধিক ফ্লাইট:

সাম্প্রতিক দিনগুলিতে ইন্ডিগোর পরিষেবা চরমভাবে বিঘ্নিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবারের চিত্র: দিল্লি বিমানবন্দরে ৩০টি ফ্লাইট বাতিল হয়েছে এবং কলকাতায় বাতিল হয়েছে ৪টি ফ্লাইট। এছাড়াও, কলকাতায় সিঙ্গাপুর ও কম্বোডিয়ার আন্তর্জাতিক রুট সহ মোট ২৪টি ফ্লাইট (১০টি আগমন ও ১৪টি প্রস্থান) বিলম্বিত হয়েছে।

আগের দিনের ঘটনা: এর আগে বুধবার, কর্মীসংখ্যার তীব্র ঘাটতির কারণে দিল্লি (৩৮), বেঙ্গালুরু (৪২), মুম্বাই (৩৩) এবং হায়দরাবাদ (১৯) সহ বিভিন্ন বিমানবন্দরে ১০০টিরও বেশি ফ্লাইট বাতিল করা হয়। উল্লেখ্য, নভেম্বরেও ইন্ডিগো ১,২৩২টি ফ্লাইট বাতিল করেছিল, যা যাত্রী পরিষেবার মান নিয়ে বড় প্রশ্ন তুলেছে।

❌ ইন্ডিগোর ব্যাখ্যা বনাম পাইলটদের অভিযোগ:

দৈনিক প্রায় ২,৩০০ ফ্লাইট পরিচালনাকারী ইন্ডিগো যাত্রীদের কাছে ক্ষমা চেয়ে “অপ্রত্যাশিত অপারেশনাল চ্যালেঞ্জের” কথা জানিয়েছে। তারা পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য ছোটখাটো প্রযুক্তিগত ত্রুটি, শীতকালীন সময়সূচি সামঞ্জস্য, প্রতিকূল আবহাওয়া, বিমান চলাচল ব্যবস্থার অতিরিক্ত ভিড় এবং ক্রু রোস্টারিং-এর নতুন নিয়মকে দায়ী করেছে।

তবে, ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া পাইলটস (FIP) সরাসরি বিমান সংস্থার দীর্ঘদিনের নীতিকেই এই সংকটের জন্য দায়ী করেছে। পাইলট সংস্থাটি ইন্ডিগোর ‘নিয়োগ স্থগিতাদেশ’ (hiring freeze) এবং “অপ্রথাগত স্বল্প কর্মী” (lean staffing) কৌশলকে তীব্রভাবে নিন্দা করেছে। FIP অভিযোগ করেছে, সংশোধিত ‘ফ্লাইট ডিউটি টাইম লিমিটেশনস’ (FDTL) বাস্তবায়নের জন্য দুই বছর সময় থাকা সত্ত্বেও, ইন্ডিগো নিয়োগ বন্ধ রেখেছিল এবং পাইলটদের বেতন বৃদ্ধিও স্থগিত করেছিল।

📜 DGCA-এর কাছে নিয়ন্ত্রক তদারকির আবেদন:

অন্য একটি পাইলট সংস্থা, ALPA ইন্ডিয়া, DGCA-এর কাছে আবেদন জানিয়েছে যে, নতুন ‘ফাটিগ রিস্ক ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’ (FRMS)-এ স্থানান্তরিত হওয়ার প্রেক্ষিতে এয়ারলাইনসগুলির স্লট বরাদ্দের সময় যেন উপলব্ধ পাইলটদের সংখ্যা সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করা হয়।

এই পরিস্থিতিতে ইন্ডিগোর ম্যানেজমেন্ট এবং DGCA-এর নিয়ন্ত্রক তদারকি নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন উঠেছে। সংশ্লিষ্ট মহল এখন বিমান নিয়ন্ত্রক সংস্থার পরবর্তী পদক্ষেপের দিকে নজর রাখছে।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy