ক্ষমতায় ফিরতেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কড়া দাওয়াই! এবার আমেরিকার এইচ-১বি (H-1B) ভিসার নিয়মে এমন এক পরিবর্তন আসতে চলেছে, যা ভারতীয় তথ্যপ্রযুক্তি (IT) কর্মীদের জন্য দুঃস্বপ্ন হয়ে উঠতে পারে। নতুন প্রস্তাব অনুযায়ী, অন্য দেশ থেকে আসা কর্মীদের এখন থেকে ভিসা ফি বাবদ দিতে হতে পারে ১ লক্ষ মার্কিন ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৮৪ লক্ষ টাকা)।
সবথেকে বড় ধাক্কা টিসিএস-ইনফোসিসকে: ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের ফলে সবথেকে বেশি সংকটে পড়বে টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিসেস (TCS), ইনফোসিস (Infosys) এবং কগনিজেন্ট-এর মতো মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানিগুলি। ব্লুমবার্গের একটি রিপোর্ট অনুযায়ী:
ইনফোসিস: এই সংস্থার ৯৩ শতাংশ নতুন কর্মীই এইচ-১বি ভিসার ওপর নির্ভরশীল। এই ফি চালু হলে সংস্থাকে কয়েক বিলিয়ন ডলার অতিরিক্ত খরচ করতে হবে।
টিসিএস: এই সংস্থার প্রায় ৮২ শতাংশ অর্থাৎ ৬৫০০ কর্মীকে এই মোটা অঙ্কের ফি দিতে হতে পারে।
কেন এই কঠোর নিয়ম? প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মূল লক্ষ্য হলো ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতিকে আরও জোরদার করা। আমেরিকার বাইরে থেকে দক্ষ কর্মী নিয়োগের যে আউটসোর্সিং ব্যবস্থা রয়েছে, তার রাশ টানতেই এই উচ্চহারে ফি আরোপ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, কোম্পানিগুলি যদি একজন কর্মীর জন্য ১ লক্ষ ডলার অতিরিক্ত গুনতে হয়, তবে তারা বিদেশি কর্মী নেওয়ার বদলে স্থানীয় আমেরিকানদের নিয়োগ করতেই বেশি আগ্রহী হবে।
ভারতীয়দের জন্য এর প্রভাব কী? বর্তমানে যারা আমেরিকায় কাজ করছেন, তাঁদের জন্য বড় কোনো সমস্যা না থাকলেও নতুনদের জন্য বিপদের মেঘ ঘনিয়ে আসছে।
চাকরির সুযোগ কমবে: উচ্চ ফি-র কারণে সংস্থাগুলি নতুন করে এইচ-১বি ভিসার আবেদন অনেক কমিয়ে দেবে।
সংকুচিত হবে বাজার: ভারতীয় আইটি প্রফেশনালদের কাছে আমেরিকার স্বপ্নের দুয়ার কার্যত বন্ধ বা অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়বে।
তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি এই ফি চূড়ান্তভাবে কার্যকর হয়, তবে আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারে ভারতের আধিপত্য বড়সড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে। ভারতীয় আইটি জায়ান্টরা এখন এই পরিস্থিতির মোকাবিলা কীভাবে করে, সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছে সারা বিশ্ব।