টানা তিন দিন ধরে বিপর্যস্ত ইন্ডিগো (IndiGo)-এর বিমান পরিষেবা। মঙ্গলবার ও বুধবারের পর বৃহস্পতিবারও পরিষেবা চরমভাবে ব্যাহত হয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ডিরেক্টর জেনারেল অব সিভিল এভিয়েশন (DGCA)-এর তরফে ইন্ডিগোর আধিকারিকদের তলব করা হয়েছে। গতকাল ইন্ডিগোর ২০০-রও বেশি বিমান বাতিল হয়েছে এবং শতাধিক বিমান দেরিতে ওঠানামা করেছে। এর জেরে হাজার হাজার যাত্রী চরম ভোগান্তির শিকার হয়েছেন।
বৃহস্পতিবারের চিত্র:
বৃহস্পতিবার সকালে দিল্লি বিমানবন্দরে ইন্ডিগোর ৩০টি বিমান বাতিল হয়।
কলকাতা বিমানবন্দরে ৪টি বিমান বাতিল হয়েছে।
কলকাতা বিমানবন্দরে ২৪টি ইন্ডিগোর বিমান দেরিতে ওঠানামা করছে। এর মধ্যে সিঙ্গাপুর এবং কম্বোডিয়ার সিয়াম রিপগামী দুটি আন্তর্জাতিক ফ্লাইটও ছিল।
গতকালকের দিল্লিগামী ইন্ডিগোর বিমান ৬ই ২০৭৯ আজ সকালে দিল্লির উদ্দেশ্যে পাড়ি দিয়েছে।
সূত্রের খবর, আজ (বৃহস্পতিবার) ইন্ডিগোর প্রায় ১৭০টি বিমান বাতিল হয়ে যেতে পারে।
পরিষেবা থমকে যাওয়ার মূল কারণ:
হঠাৎ ইন্ডিগোর পরিষেবা এভাবে থমকে যাওয়ার নেপথ্যে রয়েছে আপডেট করা ক্রু রোস্টারিং নিয়মাবলী (FDTA)। নতুন ক্রু এবং পাইলটদের ফ্লাইট ডিউটি টাইম নির্দিষ্ট করে দেওয়াতেই এই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে।
পাইলট ও ক্রুর অভাব: ইন্ডিগোর পাইলট ও ক্রু সদস্যের সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় কম।
নিয়মের কড়াকড়ি: নভেম্বর মাস থেকে FDTA-এর নিয়ম দ্বিতীয় ধাপে কার্যকর হয়েছে।
পাইলট ও ক্রুদের সাপ্তাহিক বিশ্রামের সময় বাড়িয়ে ৪৮ ঘণ্টা করা হয়েছে।
আগে যেখানে সর্বাধিক ৬টি নাইট ল্যান্ডিং করা যেত, তা কমিয়ে ২টো করে দেওয়া হয়েছে।
এই নতুন, কঠোর নিয়মাবলীর কারণে স্বল্প সংখ্যক পাইলট ও ক্রু-কে দিয়ে শিডিউল মেলানো কঠিন হয়ে পড়েছে, যার ফলস্বরূপ ব্যাপক সংখ্যক বিমান বাতিল বা দেরিতে চলছে।
ইন্ডিগোর তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, এই সমস্যা দূর করতে যাবতীয় পদক্ষেপ করা হচ্ছে। তাদের আশ্বাস, আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে।