টাকার দামে রেকর্ড পতন! ডলারের বিপরীতে ৯০ টাকা ছাড়াল; রফতানি ও আইটি খাতে কীভাবে লাভবান হবে ভারত?

ডিসেম্বর মাসের শুরুতেও অর্থনীতির ক্ষেত্রে মিশ্র পরিস্থিতি দেখা যাচ্ছে। যেখানে একদিকে চলতি অর্থবর্ষের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে দেশের অর্থনৈতিক বৃদ্ধি প্রত্যাশা ছাপিয়ে ৮.২ শতাংশ হয়েছে (রিজার্ভ ব্যাঙ্ক আশা করেছিল ৭%), সেখানে শেয়ার বাজার কিন্তু সেই সাফল্যকে সেভাবে স্বাগত জানায়নি। এর চেয়েও বড় উদ্বেগের বিষয় হলো ভারতীয় মুদ্রার দামের পতন।টাকার দামে বড় পতন:রেকর্ড দর: ডলারের বিনিময়ে টাকার দাম কমে ৯০ টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছে। মনে করা হচ্ছে, আগামীতে এই দাম ৯১ টাকাও ছাড়িয়ে যেতে পারে।এশিয়ার সবচেয়ে খারাপ মুদ্রা: ২০২৫ সালে এখনও পর্যন্ত টাকার দাম কমেছে ৫ শতাংশেরও বেশি, যার ফলে এটি বর্তমানে এশিয়ার সবচেয়ে খারাপ ফলাফল করা মুদ্রায় পরিণত হয়েছে।দ্রুত পতন: মাত্র ৭৭৩টি ট্রেডিং সেশনে ভারতীয় মুদ্রা ৮০ থেকে ৯০-তে নেমে এসেছে।টাকার দাম কমলে ভারতের কী কী সুবিধা?টাকার দাম কমলে সাধারণ মানুষের কিছু ক্ষেত্রে ক্ষতি হলেও, অর্থনীতির জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা তৈরি হতে পারে:খাত/ক্ষেত্রসুবিধাকারণরফতানি বৃদ্ধিবিদেশের বাজারে ভারতীয় পণ্যের চাহিদা বাড়বে।টাকার দাম কমলে বিদেশের বাজারে ভারতীয় পণ্যের দাম কমে যায়, ফলে চাহিদা বাড়ে।আইটি সেক্টরতথ্য-প্রযুক্তি সংস্থাগুলোর আয় বাড়বে।ভারত আইটি পরিষেবা রফতানি করে; টাকার দাম কমলে এই পরিষেবার খরচও কমবে, ফলে সংস্থার লাভ বাড়বে।ফার্মাসিউটিক্যাল খাতএই খাত থেকে ভারতে আসা অর্থের পরিমাণ বাড়বে।আইটি-র মতোই ফার্মাসিউটিক্যালসও রফতানি নির্ভর, ফলে লাভবান হবে।রেমিট্যান্স বৃদ্ধিবিদেশে থাকা ভারতীয়রা দেশে বেশি টাকা পাঠাতে উৎসাহিত হবে।ডলার থেকে টাকায় রূপান্তরিত করার সময় আগের তুলনায় বেশি টাকা আসবে, যা দেশের সরকার ও পরিবারের জন্য লাভজনক।সরকারের লক্ষ্য:কেন্দ্র সরকার জিএসটি এবং হোম লোন-সহ বিভিন্ন লোনের সুদের হার কমিয়েছে, এবং রিজার্ভ ব্যাঙ্ক রেপো রেটও কমিয়েছে। এই সবের উদ্দেশ্য হলো দেশের মানুষের হাতে উদ্বৃত্ত টাকা রাখা, যাতে লেনদেন ও কেনাকাটা বাড়ে এবং দেশের অর্থনীতি আরও দ্রুত এগিয়ে যেতে পারে।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy