শনির বৃহত্তম উপগ্রহ টাইটান (Titan) নিয়ে দীর্ঘদিনের ধারণা বদলে দিতে পারে নাসার সাম্প্রতিক এই গবেষণা। বিজ্ঞানীরা আগে মনে করতেন টাইটানের উপরিভাগের নিচে বুঝি এক বিশাল উন্মুক্ত মহাসাগর রয়েছে। কিন্তু ‘নেচার’ (Nature) জার্নালে প্রকাশিত নতুন গবেষণাপত্র বলছে, সেখানে মহাসাগর নয়, বরং রয়েছে বরফ ও জলকাদার এক পুরু স্তর এবং ভূগর্ভস্থ জলাশয়। আর এই পরিবেশই হতে পারে ভিনগ্রহী প্রাণের উপযুক্ত আস্তানা।
গবেষণার মূল পয়েন্টগুলো একনজরে:
-
জলকাদার স্তর: নাসার জেট প্রপালসন ল্যাবরেটরির বিজ্ঞানীদের মতে, টাইটানের অন্দরমহল অত্যন্ত কর্দমাক্ত। শনির মাধ্যাকর্ষণ টানে টাইটানের আকারে যে পরিবর্তন ঘটে, তার গতিপ্রকৃতি বিশ্লেষণ করেই এই জলকাদা বা ‘স্লাশ’-এর অস্তিত্ব ধরা পড়েছে।
-
প্রাণের সম্ভাবনা: টাইটানের গভীরে খোপে খোপে যে জল সঞ্চিত আছে, তার তাপমাত্রা প্রায় ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই মনোরম তাপমাত্রা জলজ প্রাণের বিকাশের জন্য অত্যন্ত সহায়ক হতে পারে।
-
ভিন্ন পদার্থবিদ্যা: টাইটানে জলের ওপর চাপ এতটাই বেশি যে সেখানকার বরফ ও জলের আচরণ পৃথিবীর থেকে সম্পূর্ণ আলাদা।
-
ড্রাগনফ্লাই মিশন: টাইটানের এই রহস্য উন্মোচনে ২০২৮ সালে ‘ড্রাগনফ্লাই’ (Dragonfly) মহাকাশযান পাঠাবে নাসা, যা ২০৩৪ সালে সেখানে অবতরণ করবে।