ভারত প্রতি বছর ১৮ই ডিসেম্বর ‘জাতীয় সংখ্যালঘু অধিকার দিবস’ পালন করে। ১৯৯২ সালে রাষ্ট্রপুঞ্জের ঘোষণার পর ভারত সরকার জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন প্রতিষ্ঠা করে। ভারতীয় সংবিধান ধর্মীয় ও ভাষাগত সংখ্যালঘুদের নিজস্ব সংস্কৃতি, ভাষা ও ধর্মীয় স্বাধীনতা রক্ষার জন্য একাধিক মৌলিক অধিকার প্রদান করেছে।
সংবিধানের প্রধান ধারাগুলি:
-
আইনের চোখে সাম্য (ধারা ১৪, ১৫, ১৬): ধর্ম, জাতি বা বর্ণের ভিত্তিতে কোনো বৈষম্য করা যাবে না এবং সরকারি চাকরিতে সমান সুযোগ দিতে হবে।
-
ধর্মীয় স্বাধীনতা (ধারা ২৫-২৮): ধর্ম পালন, প্রচার এবং নিজস্ব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান পরিচালনার পূর্ণ স্বাধীনতা।
-
সাংস্কৃতিক ও শিক্ষা অধিকার (ধারা ২৯-৩০): সংখ্যালঘুদের নিজস্ব ভাষা ও লিপি সংরক্ষণের অধিকার এবং পছন্দমতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন ও পরিচালনার অধিকার।
-
বিশেষ সুরক্ষা (ধারা ৩৫০এ, ৩৫০বি): মাতৃভাষায় প্রাথমিক শিক্ষা এবং ভাষাগত সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষায় বিশেষ আধিকারিক নিয়োগ।