দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘দিতোয়া’ বর্তমানে তাণ্ডব শুরু করেছে। দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কা ইতিমধ্যেই এর ভয়াবহ প্রভাবে বিধ্বস্ত। সেখানে ঘূর্ণিঝড় ‘দিতোয়া’-র কারণে মৃতের সংখ্যা ৫০ ছাড়িয়েছে এবং ২৫ জন এখনও নিখোঁজ। রেকর্ড বৃষ্টিপাতের ফলে সে দেশের সমস্ত নদীর জলস্তর বিপজ্জনকভাবে বেড়েছে।
শ্রীলঙ্কা সরকার পরিস্থিতি মোকাবিলায় আজ সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলিতে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে এবং আন্তর্জাতিক স্কুলগুলিও বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কলম্বোয় বিমান অবতরণ করতে না পারলে সেগুলিকে তিরুবনন্তপুরম বা কোচিতে ঘুরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বহু রাস্তা ভেঙে যাওয়ায় জাতীয় উদ্যান বন্ধ এবং আজ সকাল ৬টা থেকে সমস্ত ট্রেন পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে।
উপকূলে চরম সতর্কতা ও প্রশাসনিক প্রস্তুতি
‘দিতোয়া’ ঘূর্ণিঝড় আরও শক্তিশালী হওয়ায় প্রতিবেশী তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ ও পুদুচেরি উপকূলে চরম সতর্কতা জারি করা হয়েছে। তামিলনাড়ুতে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করে ৪টি জেলায় রেড অ্যালার্ট এবং ৬টি জেলায় অরেঞ্জ অ্যালার্ট ঘোষণা করা হয়েছে।
বড় ধরনের দুর্যোগ মোকাবিলায় চেন্নাইয়ের জলাধারগুলি থেকে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে জল ছাড়া হয়েছে। রেড হিলস, পুন্ডি এবং চেম্বারামবাক্কাম জলাধার থেকে প্রতি সেকেন্ডে ২০০ ঘনফুট জল ছাড়া হচ্ছে। দুর্যোগ মোকাবিলা কর্তৃপক্ষের সদর দফতরে পৌঁছে মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন নিজে পরিস্থিতির পর্যালোচনা করেছেন।
মৌসম ভবনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ইয়েমন নামাঙ্কিত এই নতুন ঘূর্ণিঝড়টি আগামী ৩০ নভেম্বর পুদুচেরি ও দক্ষিণ অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে। ঘূর্ণিঝ়ড়ের প্রভাবে দক্ষিণ ভারতের বিস্তীর্ণ এলাকায় প্রবল বৃষ্টি হতে পারে বলেও সতর্ক করা হয়েছে।