ঘূর্ণিঝড় ‘দিতোয়া’ (Ditwa) উপকূলে আসার আগেই শক্তি হারিয়ে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে এবং আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী এটি আরও দুর্বল হয়ে যাবে। এর কোনো প্রভাবই পশ্চিমবঙ্গে পড়ছে না। উল্টে, শীতের দাপট বাড়াতে শুরু করেছে রাজ্যজুড়ে। মোটের উপর গোটা রাজ্যেই শুষ্ক আবহাওয়া বিরাজ করছে।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী ৩ থেকে ৪ দিনের মধ্যে তাপমাত্রা আরও বেশ খানিকটা কমবে। পারদ নামতে পারে ২ থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত।
কলকাতায় পারদ পতন ও দক্ষিণবঙ্গের পূর্বাভাস
রাজধানী কলকাতায় শীতের আমেজ বাড়ছে:
তাপমাত্রার পূর্বাভাস: আগামী কয়েকদিনে শহরে তাপমাত্রা আরও ২ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে যাবে। সপ্তাহান্তে, শুক্র থেকে শনিবারের মধ্যে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে যেতে পারে।
আজকের তাপমাত্রা: এদিন সকালে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৬.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আর্দ্রতা ও বাতাস: বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ৪৩ থেকে ৮৬ শতাংশের মধ্যে ঘোরাফেরা করছে। শহরে উত্তর-পশ্চিমের বাতাস বইছে।
দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই কুয়াশার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকবে। বৃষ্টির কোনো পূর্বাভাস নেই। পশ্চিমের জেলাগুলিতে তাপমাত্রা ১১ থেকে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে যেতে পারে।
উত্তরবঙ্গের পরিস্থিতি
দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের হাওয়াও মোটের উপর শুষ্ক থাকছে।
পার্বত্য তাপমাত্রা: ইতিমধ্যেই দার্জিলিংয়ের তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে নেমে গিয়েছে। মালদহে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে ঘোরাফেরা করছে।
কুয়াশা সতর্কতা: কোচবিহার, জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ার জেলায় ঘন কুয়াশার সম্ভাবনা বেশি থাকছে। উইকেন্ডে পার্বত্য এলাকাতেও কুয়াশার দাপট বাড়বে।
মোটকথা, ঘূর্ণিঝড়ের ভ্রুকুটি কেটে যাওয়ায় ডিসেম্বরের শুরুতেই রাজ্যে শীতের স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরছে।