মালদহের বৈষ্ণবনগরে এক ব্যক্তিকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে খুনের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। মৃত ব্যক্তির নাম আতাবুর রহমান (৪৫), বাড়ি কেবিএস ছোটো কামাত এলাকায়। রবিবার রাতে আতাবুর যখন ঘরে ছিলেন, তখন দুষ্কৃতীরা ঘরের দরজা বাইরে থেকে বন্ধ করে ভেতরে ঢোকে এবং ভোজালি দিয়ে তাকে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে।
পরিবারের সদস্যরা জানান, গভীর রাতে আতাবুরের গোঙানির শব্দ শুনে তারা ঘর থেকে বেরোনোর চেষ্টা করেন, কিন্তু দরজা বাইরে থেকে বন্ধ থাকায় কেউ বেরোতে পারেননি। পরে দরজা খুলে ভেতরে ঢুকতেই দেখা যায়, রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়ে আছেন আতাবুর। দ্রুত তাকে বেদরাবাদ গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার খবর পেয়ে কালিয়াচকের এসডিপিও ফয়জাল রাজার নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী পৌঁছায়। এই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই মহিলাকে আটক করা হয়েছে। খুনের নেপথ্যে পুরনো শত্রুতা নাকি অন্য কোনো কারণ রয়েছে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
অন্যদিকে, জলপাইগুড়ির বানারহাটে হাতির তাণ্ডবে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। উত্তর শালবাড়ি এলাকায় তিনটি হাতি লোকালয়ে ঢুকে পড়ে একটি বাইক ও সাইকেল ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। বর্তমানে একটি পূর্ণবয়স্ক হাতি ও শাবক সিম ক্ষেতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। বনকর্মী ও পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করলেও, উৎসাহী জনতার ভিড় ও হাতিদের উত্ত্যক্ত করার কারণে পরিস্থিতি বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে।