গ্রামে ছুটতে হবে না! কালীপুজোয় শহরের মধ্যে মিলবে গ্রামবাংলার আমেজ, আসানসোল ট্রাফিক কলোনির মণ্ডপে অভিনব ভাবনা

শহরের যানবাহনের আওয়াজ ও কোলাহল থেকে মুক্তি পেতে যারা গ্রামীণ পরিবেশ পছন্দ করেন, এবার কালীপুজোয় তাঁদের জন্য দারুণ খবর। আসানসোল শহরের মধ্যে এক গ্রাম বাংলার আমেজ ফিরিয়ে আনতে অভিনব ভাবনা ফুটিয়ে তুলছে আসানসোল ট্রাফিক কলোনি পুজো কমিটি।

ট্রাফিক জিমনেশিয়াম সর্বজনীন কালীপুজো কমিটি এবার ৩০তম বর্ষে পদার্পণ করল। ক্লাবের অন্যতম সদস্য ভিকি প্রসাদ জানান, “আমাদের এই ক্লাবের পুজো প্রত্যেক বছরই আসানসোল শহরের মানুষজনের মধ্যে ভাল সাড়া ফেলে দেয়। বিশেষ করে প্রতিমায় একটা আকর্ষণ থাকে, এবারও অন্যথা হচ্ছে না।”

₹২ লক্ষ বাজেটে গ্রামীণ পরিবেশ
পুজো কমিটি এবার প্রায় ২ লক্ষ টাকা বাজেটে ফুটিয়ে তুলছে গ্রাম বাংলার পরিবেশ। মণ্ডপের ভিতর প্রবেশ করলেই দর্শনার্থীরা দেখতে পাবেন গ্রামের মাটির বাড়ির পাঁচিলের উপর খড়ের ছাউনি, রঙ করা মাটির দেওয়াল। এছাড়াও বাচ্চাদের আকর্ষণ করতে দাঁড়িয়ে থাকবে বেশ কয়েকটি পুুুতুল। পরিবেশবান্ধব জিনিসপত্র যেমন—বাঁশ, প্লাই, খড়, কুলো, খাচী, পাটের চট, মাটি সহ অন্যান্য জিনিস ব্যবহার করে এই মণ্ডপ তৈরি হচ্ছে।

প্রতিমা ও প্রাচীন রীতি
এখানকার প্রতিমার উচ্চতা প্রায় ১৫ ফুট। সম্পূর্ণ ডাকের সাজে মা কালীকে সাজানো হয়। এই পুজোয় একটি বিশেষ প্রাচীন রীতিও চলে আসছে—কালীপুজোর দিন তারাপীঠ থেকে জলের ঘট ভরে নিয়ে আসা হয়, এরপর শুরু হয় পুজো। পুজো শেষে সেই ঘট আবার তারাপীঠের দ্বারকা নদীতে নিরঞ্জন করা হয়।

আসানসোলবাসীর আশা, এই অভিনব থিম মণ্ডপ শহরের কোলাহলের মধ্যে কিছুটাক্ষণের জন্য হলেও মন-প্রাণ জুড়িয়ে দেবে।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy