খসড়া তালিকায় নাম থাকলেই স্বস্তি নেই! বাড়িতে আসবে বড় সমন, কবে থেকে শুরু হচ্ছে হিয়ারিং?

পশ্চিমবঙ্গের ভোটার তালিকা সংশোধনের (SIR) কাজ এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে। ১৬ ডিসেম্বর খসড়া তালিকা প্রকাশিত হওয়ার পর রাজ্যজুড়ে প্রায় ১.৭ কোটি ভোটারের তথ্যে অসামঞ্জস্য ধরা পড়েছে। ফলে খসড়া তালিকায় নাম থাকলেই যে আপনি নিশ্চিন্ত, তা কিন্তু নয়। তথ্যের সামান্য ভুল বা সন্দেহ থাকলে নির্বাচন কমিশন আপনাকে হিয়ারিং বা শুনানির জন্য সমন পাঠাবে।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, খসড়া তালিকা প্রকাশের পর এখন শুরু হয়েছে সমন বা নোটিস তৈরির কাজ।

নোটিস পাঠানোর সময়: ১৭ ডিসেম্বর থেকে আগামী ২২ বা ২৩ ডিসেম্বরের মধ্যে ভোটারদের বাড়িতে নোটিস পৌঁছনোর কাজ শেষ করতে চায় কমিশন।

হিয়ারিং শুরুর সম্ভাব্য তারিখ: খসড়া তালিকা প্রকাশের ৫ থেকে ৭ দিন পর, অর্থাৎ ২৩-২৪ ডিসেম্বরের পর থেকেই একে একে শুরু হবে শুনানি প্রক্রিয়া।

চলাকালীন সময়: ১৫ জানুয়ারি, ২০২৬ পর্যন্ত দাবি ও আপত্তি জানানো যাবে, তাই হিয়ারিং প্রক্রিয়া জানুয়ারির মাঝামাঝি পর্যন্ত চলবে।

আপনার কাছে নোটিস আসবে কীভাবে?
কমিশন সরাসরি এবং বিএলও-র (BLO) মাধ্যমে ভোটারদের সঙ্গে যোগাযোগ করবে: ১. বিএলও-র মাধ্যমে: আপনার বুথ লেভেল অফিসার হাতে কলমে আপনার বাড়িতে নোটিস বা সমন দিয়ে আসবেন। সেখানে লেখা থাকবে কবে এবং কোথায় আপনাকে শুনানির জন্য যেতে হবে। ২. মোবাইল মেসেজ: ভোটার কার্ডের সঙ্গে ফোন নম্বর লিঙ্ক থাকলে এসএমএস-এর মাধ্যমেও হিয়ারিং-এর তারিখ ও স্থান জানানো হতে পারে।

কাদের হিয়ারিং-এ ডাকা হবে?
সবাইকে ডাকা না হলেও কমিশনের নজরে থাকা প্রায় ১.৭ কোটি ‘ডিসক্রিপেন্সি’ (Discrepancy) যুক্ত ভোটার এবং প্রায় ৩২ লক্ষ ‘আনম্যাপড’ (Unmapped) ভোটারের ডাক পড়ার সম্ভাবনা প্রবল। বিশেষ করে লিঙ্গ, বাবার নাম বা বয়সের অসামঞ্জস্য থাকলে কমিশন সশরীরে হাজিরার নির্দেশ দেবে।

ভোটারদের করণীয় কী?
বিএলও আপনার বাড়িতে এলে তাঁর সঙ্গে সহযোগিতা করুন। যদি আপনার কাছে হিয়ারিং-এর সমন আসে, তবে নির্দিষ্ট দিনে নিজের আধার কার্ড, রেশন কার্ড, জন্ম সার্টিফিকেট বা পাসপোর্ট-এর মতো বৈধ নথি নিয়ে উপস্থিত হতে হবে। হিয়ারিং-এ সন্তোষজনক উত্তর ও নথি দিলেই কেবল ১৪ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত হতে চলা চূড়ান্ত তালিকায় আপনার নাম থাকবে।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy