টেক দুনিয়ায় বড় ধরনের কর্মী ছাঁটাইয়ের খবর সামনে এসেছে। মঙ্গলবার থেকে কার্যকর হচ্ছে অ্যামাজ়নের এই ব্যাপক ছাঁটাই কর্মসূচি, যেখানে কমবেশি ৩০ হাজার কর্মীকে ছাঁটাই করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিশ্লেষকদের মতে, এটি অ্যামাজ়নের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘটনা।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, কোভিড-১৯ মহামারীর সময় অনলাইন শপিং এবং লজিস্টিক বিভাগে অভূতপূর্ব চাহিদা বৃদ্ধির কারণে অ্যামাজ়ন অতিরিক্ত কর্মী নিয়োগ করেছিল। তবে বর্তমানে বাজারে চাহিদা স্বাভাবিক হওয়ায় অতিরিক্ত নিয়োগের ভারসাম্য রক্ষা এবং সামগ্রিক খরচ কমানোর জন্যই এই কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
অ্যামাজ়ন এই ছাঁটাইকে “সংগঠনের পুনর্গঠন ও দক্ষতা বৃদ্ধি” হিসেবে ব্যাখ্যা করেছে। কোম্পানির মুখপাত্র জানিয়েছেন, “আমরা কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছি, কিন্তু এটি আমাদের দীর্ঘমেয়াদী স্থিতিশীলতা এবং ব্যবসার জন্য জরুরি।” অ্যামাজ়ন ক্ষতিগ্রস্ত কর্মীদের জন্য প্রয়োজনীয় সমর্থন এবং ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই বিপুল সংখ্যক কর্মী ছাঁটাই কেবল কোম্পানির আর্থিক প্রভাবের দিকেই নয়, কর্মীদের মনোবল এবং কর্মসংস্থান বাজারেও অনিশ্চয়তার পরিবেশ তৈরি করবে। তাঁদের মতে, প্রযুক্তি কোম্পানিগুলি কোভিডের সময় দ্রুত সম্প্রসারণ করেছিল, এবং এখন বাজারের চাহিদার স্বাভাবিকীকরণের কারণে এই ধরনের ব্যয় হ্রাসের পদক্ষেপ অনিবার্য হয়ে উঠেছে। অ্যামাজ়নের এই পদক্ষেপ সমগ্র ই-কমার্স ও প্রযুক্তি শিল্পের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ইঙ্গিত বহন করছে, যা সামনের বছরগুলোতে অন্যান্য টেক জায়ান্টদের মধ্যেও ছাঁটাইয়ের ধারা অব্যাহত থাকার আশঙ্কা বাড়িয়েছে।