মুর্শিদাবাদের কান্দি জেমো বিশ্বাসপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অবশেষে কাটল কালো মেঘ। দুই শিক্ষকের ইগো ও দায়িত্ব এড়ানোর দ্বন্দ্বে দীর্ঘ ১৫ দিন ধরে বন্ধ ছিল মিড-ডে-মিল, লাটে উঠেছিল পঠন-পাঠন। সংবাদমাধ্যমে এই খবর সম্প্রচারিত হতেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। তড়িঘড়ি নতুন স্থায়ী প্রধান শিক্ষক নিয়োগ করায় ফের ছন্দে ফিরল স্কুল।
শিক্ষকদের জেদ বনাম পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ: স্কুলের দুই প্রবীণ শিক্ষক অবসর নেওয়ার পর টিআইসি (TIC) চার্জ কে নেবেন, তা নিয়ে শুরু হয় দড়ি টানাটানি। বর্তমান শিক্ষক অর্ঘ্য পান অসুস্থতার দোহাই দিয়ে দায়িত্ব নিতে অস্বীকার করেন, অন্যদিকে মনজিলা পারভীনও চার্জ নিতে নারাজ ছিলেন। শিক্ষকদের এই অনড় মনোভাবের জেরে বন্ধ হয়ে যায় মিড-ডে-মিল। খাবার না পেয়ে স্কুলে আসা বন্ধ করে দিয়েছিল প্রায় ৭০ জন পড়ুয়া। ব্যাহত হচ্ছিল স্বাভাবিক পঠন-পাঠন।
প্রশাসনের তৎপরতা ও নতুন চ্যালেঞ্জ: খবর জানাজানি হতেই জেলা স্কুল শিক্ষা দফতর মহম্মদ ফিরোজ সেখকে স্থায়ী প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ করে। শনিবার তিনি স্কুলে যোগদান করলে পড়ুয়ারা তাঁকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেয়। অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক সমৃতা রুদ্র জানিয়েছেন, পঠন-পাঠন স্বাভাবিক হয়েছে এবং আজ থেকেই মিড-ডে-মিল চালু করা হয়েছে। দায়িত্ব নিয়েই নতুন প্রধান শিক্ষক জানিয়েছেন, স্কুলের এই অচলাবস্থা কাটিয়ে পঠন-পাঠন ও পরিষেবা স্বাভাবিক রাখাই এখন তাঁর সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।