স্বাধীনতার দুই দশক আগে, ১৯২৫ সালে কাটোয়া শহরের অদূরে এক প্রত্যন্ত গ্রামে যে আলোকবর্তিকা জ্বলেছিল, আজ তা শতবর্ষে পা দিল। পূর্ব বর্ধমান জেলার ঘোড়ানাশ হাইস্কুল আজ আর কেবল একটি স্কুল নয়, হাজার হাজার মানুষের আবেগ ও ঐতিহ্যের ঠিকানায় পরিণত হয়েছে। স্কুলের এই ঐতিহাসিক মুহূর্তকে উদযাপন করতে শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে শতবর্ষ উৎসব।
একই প্রাঙ্গণে দাদু-বাবা-নাতি: এই উৎসবের সবচেয়ে অনন্য দৃশ্য হলো ‘তিন প্রজন্মের মিলনমেলা’। একই পরিবারের দাদু প্রাক্তন ছাত্র, বাবাও তাই, আর নাতি বর্তমানে এই স্কুলেই পড়াশোনা করছে। প্রাক্তন ছাত্র গৌতম ঘোষাল ও মৃন্ময় সাহারা আবেগজড়িত কণ্ঠে জানালেন, “আমাদের তিন পুরুষ এই স্কুলের ছাত্র। সরকারি স্কুল হিসেবে এর অগ্রগতি আমাদের গর্বিত করে।” স্কুলের প্রধান শিক্ষক বিশ্বরূপ ঘোষ এই দীর্ঘ পথচলার কারিগরদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেছেন।
নক্ষত্র সমাবেশ: প্রদীপ প্রজ্বলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন জেলাশাসক আয়েশা রাণী এবং বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়। তবে অনুষ্ঠানের অন্যতম আকর্ষণ ছিলেন পদ্মশ্রী পুরস্কারপ্রাপ্ত লোকসংগীত শিল্পী রতন কাহার। রবিবার পর্যন্ত নানা বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মাধ্যমে চলবে এই শতবর্ষ উদযাপন। একসময়ের ছাত্ররা আজ সমাজে সুপ্রতিষ্ঠিত হয়েও ফিরে এসেছেন নিজেদের শেকড়ে, শৈশবের সেই প্রিয় ক্লাসরুমে।