পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের রাজনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা রানা সানাউল্লাহ এবং পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)-এর সিনিয়র নেতারা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের স্বাস্থ্য নিয়ে তীব্র জল্পনা উড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁরা ডনকে নিশ্চিত করেছেন যে, দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ইমরান খান “ভালো আছেন এবং তার কিছুই হয়নি”।
তবে, দলের প্রতিষ্ঠাতার সঙ্গে সাক্ষাতের দাবিতে এখনও অনড় রয়েছে পিটিআই নেতৃত্ব। তাদের ক্রমবর্ধমান উদ্বেগ, গত তিন সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে পরিবারের সদস্য এবং আইনি পরামর্শদাতাদের সঙ্গে জেলবন্দি ইমরান খানকে দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না। ২০২৩ সালের আগস্ট মাস থেকে দুর্নীতির এক মামলায় তিনি ১৪ বছরের সাজা ভোগ করছেন।
জেল গেটে পিটিআই-এর বিক্ষোভ:
ইমরান খানের সঙ্গে দেখা করার অনুমতির দাবিতে পরিবারের সদস্য এবং দলীয় কর্মীরা সম্প্রতি আদিয়ালা জেলের বাইরে বিক্ষোভ করেছেন। আজ পিটিআই-এর একটি প্রতিনিধি দল আবারও কারাগারে গেলেও কর্তৃপক্ষ প্রবেশাধিকার দেয়নি। দলের নেতা ও মন্ত্রীরা আদালতের বাইরেই ধর্না ও বিক্ষোভ অবস্থান করছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘ইমরান খান কোথায়?’ হ্যাশট্যাগটি ‘X’ (আগেকার টুইটার)-এ ট্রেন্ডিং হচ্ছে।
পিটিআই সিনেটর আলি জাফর ডন নিউজটিভির এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টার দাবিকে সমর্থন করে বলেন, “আল্লাহর শুকরিয়া, খবরটি ভিত্তিহীন। তবে, এই রিপোর্টের পরেই এটি আরও গুরুত্বপূর্ণ যে সরকার অবিলম্বে আমাদের সাক্ষাতের সুযোগ দিক, যাতে আমরা নিজেরা গিয়ে দেখতে পারি।” তিনি জোর দিয়ে বলেন, ইমরানের সঙ্গে দেখা করার পরেই দল সবাইকে আশ্বস্ত করতে পারবে।
সরকার নীরব, রাষ্ট্রসংঘের চাপ:
সোশ্যাল মিডিয়ায় জল্পনা আরও তীব্র হয় যখন রিপোর্টে বলা হয় যে ৭৩ বছর বয়সী এই নেতাকে কড়া নিরাপত্তার জন্য অন্য কোনো স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হতে পারে। এই কারণেই যোগাযোগে কড়াকড়ি করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা রানা সানাউল্লাহ এআরওয়াই নিউজে কথা বলার সময় জানান যে ইমরানের অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। তিনি দাবি করেন, “তার স্বাস্থ্য ভালো আছে এবং তার যত্ন নেওয়া হচ্ছে। একটি ডাক্তারদের দল রয়েছে যারা সাপ্তাহিক এবং দৈনিক তাকে পরীক্ষা করে এবং তার ওষুধ, খাবার, সুবিধা এবং ব্যায়ামের যত্ন নেয়।” তিনি আরও নিশ্চিত করেন যে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী আদিয়ালা জেলেই আছেন এবং স্থানান্তরের গুজব অস্বীকার করেন।
তবে, ইমরান খানের খবর জানতে চেয়ে পাকিস্তান সরকারের উপর চাপ বাড়াচ্ছে রাষ্ট্রসংঘও। এই পরিস্থিতিতে পিটিআই নেতা আলি জাফর বলেন, “আমরা মনে করি ইমরানের সঙ্গে একটি বৈঠকের ব্যবস্থা করা খুব জরুরি; এক মাস হয়ে গেছে।”