দেশের রাজধানী দিল্লি থেকে ইন্ডিগোর সমস্ত বিমান পরিষেবা শুক্রবার মধ্যরাত পর্যন্ত বন্ধ রাখার কথা ঘোষণা করল দিল্লি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। এই বিমান সংস্থাটি বর্তমানে তাদের ২০ বছরের ইতিহাসে সবথেকে বড় ‘অপরেশনাল বিপর্যয়ের’ মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। গত চার দিনে ইন্ডিগোর একাধিক বিমান বাতিল হওয়ার ফলে চরম ভোগান্তির শিকার হয়েছেন বহু যাত্রী। জানা গিয়েছে, শুধু শুক্রবারেই মোট ৭০০টি ফ্লাইট বাতিল হয়েছে।
মুম্বই, হায়দরাবাদ, পুনে এবং চেন্নাই-সহ দেশের একাধিক বিমানবন্দরে যাত্রীদের লম্বা লাইন এবং ব্যাপক অচলাবস্থা দেখা গিয়েছে।
কেন এই নজিরবিহীন সঙ্কট? ইন্ডিগো ইতিমধ্যেই এই বিপর্যয়ের কারণ স্বীকার করে জানিয়েছে যে লোকবল কম থাকায় এই ধরনের সমস্যা দেখা দিয়েছে। বিমান সংস্থার সিইও পিটার এলবার্ট জানিয়েছেন, পরিষেবা পুনরায় সঠিকভাবে ফিরিয়ে আনতে আপাতত আরও কিছুটা সময় লাগবে।
নভেম্বরের শেষের দিক থেকে ইন্ডিগোর নেটওয়ার্ক জুড়ে এই বিঘ্ন বাড়তে শুরু করে। বেসামরিক বিমান চলাচল অধিদফতর (DGCA)-এর পর্যালোচনায় সংস্থাটি লোকবলের অভাবকেই কারণ হিসেবে তুলে ধরেছে। সংস্থাটি প্রতিদিন স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি—১৭০ থেকে ২০০টি পর্যন্ত ফ্লাইট বাতিল করছে।
DGCA-এর জরুরি পদক্ষেপ: অন্যদিকে, বিমান নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা DGCA এই প্রবল বিপর্যয়ের মাঝে এক জরুরি সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তারা বিমান চালকদের প্রতি সপ্তাহে একদিনের ছুটি সাময়িকভাবে বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। DGCA প্রতিটি বিমান সংস্থাকে নিজেদের কর্মীদের জন্য নতুন রোস্টার তৈরি করে এই সঙ্কট থেকে উদ্ধারের পথ খুঁজতে বলেছে।
অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী (MoCA) এবং ইন্ডিগোর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে পর্যালোচনা বৈঠক করেছেন এবং পরিস্থিতির উপর কড়া নজর রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি DGCA-কে বিমান ভাড়ার উপরও কড়া নজর রাখতে বলা হয়েছে, যাতে এই বিপর্যয়ের সুযোগ নিয়ে অযৌক্তিকভাবে ভাড়া বৃদ্ধি না করা হয়।