দীপাবলির উৎসবে সৌহার্দ্য বিনিময়ের আবহেও আলোচনার কেন্দ্রে এলেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। হোয়াইট হাউসে আয়োজিত দীপাবলি অনুষ্ঠানে তিনি দাবি করেন, সম্প্রতি তাঁর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে ফোনালাপ হয়েছে। সেই কথোপকথনে বাণিজ্য, আঞ্চলিক শান্তি এবং ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা হয়।
তবে ট্রাম্পের এই মন্তব্যের কিছু অংশ ঘিরে নতুন করে কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠেছে।
বাণিজ্য নিয়ে দাবি: বিশ্লেষকদের সংশয় কেন?
ট্রাম্প দাবি করেন, মোদীর সঙ্গে তাঁর আলোচনায় বাণিজ্যের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় স্থান পেয়েছে। কিন্তু এনডিটিভির প্রতিবেদনে সাংবাদিক প্রণয় উপাধ্যায় বিশ্লেষণ করে বলেন, ট্রাম্প প্রশাসনের আমলেই ভারতীয় পণ্যের ওপর আমদানি শুল্ক (Tariff) বাড়ানো হয়েছিল, যা দুই দেশের বাণিজ্য সম্পর্ককে বরং কঠিন করে তুলেছিল। তাই ট্রাম্পের দাবি যে তিনি বাণিজ্য বিষয়ে সহযোগিতার কথা বলেছিলেন, তা নিয়ে বিশ্লেষকরা সংশয় প্রকাশ করছেন।
তৃতীয় পক্ষের ভূমিকা ও ‘যুদ্ধ ঠেকানোর’ বিতর্ক
আরও বিতর্কের জন্ম দিয়েছে ট্রাম্পের ‘যুদ্ধ ঠেকানোর’ মন্তব্যটি। তিনি বলেন, “আমরা কিছুদিন আগেই কথা বলেছিলাম, আমি বলেছিলাম, পাকিস্তানের সঙ্গে যেন কোনো যুদ্ধ না হয়।”
ট্রাম্প আগেও একাধিকবার দাবি করেছেন যে তাঁর মধ্যস্থতার কারণেই ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংঘাত এড়ানো সম্ভব হয়েছিল।
কিন্তু ভারত সরকার বরাবরই এই দাবি নাকচ করে আসছে। নয়াদিল্লির অবস্থান অত্যন্ত স্পষ্ট—ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যেকোনো বিষয় দ্বিপাক্ষিকভাবেই মীমাংসিত হবে, এখানে কোনো তৃতীয় পক্ষের ভূমিকার প্রশ্ন নেই।
প্রণয় উপাধ্যায় তাঁর প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেন, ট্রাম্পের রাজনৈতিক বক্তব্যে আত্মপ্রচার স্বাভাবিক হলেও, দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনীতির বাস্তবতা ভিন্ন। দীপাবলির মঞ্চে তাঁর এই মন্তব্য তাই কূটনৈতিক দিক থেকে যেমন তাৎপর্যপূর্ণ, তেমনি বিতর্কিতও বটে।