ভোটার তালিকায় ‘ঝাড়াই-বাছাই’ নিয়ে জল্পনার অবসান। আজ শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর থেকে সন্দেহভাজন ভোটারদের বাড়ি বাড়ি নোটিস পাঠানো শুরু করতে চলেছে নির্বাচন কমিশন। গত ১৬ ডিসেম্বর খসড়া তালিকা প্রকাশের পর থেকেই এই প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু নোটিস স্থানীয় ভাষায় অনুবাদ করার কারণে কয়েক দিন দেরি হয়। অবশেষে আজ থেকেই সেই কাজ শুরু হচ্ছে।
কমিশন সূত্রে খবর, নোটিস পাঠানোর ঠিক ৭ দিন পর থেকে শুনানি প্রক্রিয়া শুরু হবে। অর্থাৎ, আগামী ২৬ ডিসেম্বর (তথ্য সংশোধন: ২৬ ডিসেম্বর হতে পারে, যেহেতু ১৯ তারিখ থেকে নোটিস যাচ্ছে) থেকে শুনানি শুরু হতে পারে।
যাঁদের তথ্যে কোনো রকম অসঙ্গতি পাওয়া গিয়েছে, কেবল তাঁদেরই শুনানিতে ডাকা হবে। মূলত নিচের কারণগুলির জন্য ডাক পড়তে পারে:
২০০২-এর তালিকা ম্যাপিং: যদি কোনো ভোটারের বাবা, মা, ঠাকুরদা বা ঠাকুমার নাম ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় না থাকে, তবে তাঁকে অবশ্যই শুনানিতে আসতে হবে।
প্রজেনি (Progeny) ম্যাপিং: আত্মীয়তার সম্পর্ক বা বংশলতিকায় কোনো গরমিল থাকলে কমিশন নোটিস পাঠাবে।
বয়স সংক্রান্ত সন্দেহ: ভোটারের নিজের বয়স বা তাঁর পরিবারের সদস্যদের বয়স নিয়ে কোনো অস্পষ্টতা থাকলে তলব করা হবে।
সন্দেহভাজন তালিকা: বর্তমানে কমিশনের সন্দেহের তালিকায় রয়েছেন প্রায় ১ কোটি ৫০ লক্ষ মানুষ। প্রাথমিক পর্যায়ে প্রায় ৩০ লক্ষ ভোটারকে শুনানিতে ডাকা হতে পারে।
কমিশন স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, খসড়া তালিকায় নাম থাকা মানেই তিনি বৈধ ভোটার— এমনটা ভাবার কারণ নেই। শুনানিতে যদি উপযুক্ত বৈধ নথি দাখিল করা না যায় অথবা কমিশন যদি নথিতে সন্তুষ্ট না হয়, তবে ভোটার তালিকা থেকে পাকাপাকিভাবে নাম বাদ যেতে পারে।