আজই শেষ সুযোগ! ডিএ মামলার রায় কি দেবে সুপ্রিম কোর্ট? মমতা বনাম সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের সংঘাতে সরগরম রাজ্য

বছরের শেষ শুক্রবার। একদিকে সুপ্রিম কোর্টে ডিএ (DA) মামলার দীর্ঘ প্রতীক্ষিত রায় আসার শেষ মুহূর্তের অপেক্ষা, অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এক মন্তব্যে রাজ্য রাজনীতিতে নতুন করে শোরগোল। ডিএ দেওয়া কি বাধ্যতামূলক? এই প্রশ্নকে ঘিরেই এখন রণক্ষেত্র বাংলার প্রশাসনিক অন্দরমহল।

সুপ্রিম কোর্টে আজই কি শেষ ভরসা? গত ৮ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টে ডিএ মামলার শুনানি শেষ হলেও রায়দান এখনও ঝুলে রয়েছে। আজ ১৯ ডিসেম্বর যদি রায় না আসে, তবে এই বছর রায় বেরোনোর সম্ভাবনা ক্ষীণ। কারণ, ২২ ডিসেম্বর থেকে ২ জানুয়ারি পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে শীতকালীন ছুটি থাকবে। ৫ জানুয়ারি আদালত পুনরায় খুলবে। ফলে আজকের কার্যতালিকা বা কজলিস্টের দিকে চাতক পাখির মতো চেয়ে আছেন লক্ষ লক্ষ সরকারি কর্মী।

মুখ্যমন্ত্রীর ‘ম্যান্ডেটরি নয়’ তত্ত্বে বিতর্ক
বৃহস্পতিবার ধনধান্য অডিটোরিয়ামের মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট জানান, ডিএ দেওয়া বাধ্যতামূলক নয়। তিনি বলেন, “ডিএ দেওয়া ম্যান্ডেটারি নয়। তবুও আমরা প্রতি বছর ১৮ শতাংশ হারে ডিএ দিই।” মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্য আগুনের মতো ছড়িয়ে পড়ে সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে।

গর্জালেন ভাস্কর ঘোষ: মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ সাফ জানান:

দয়ার দান নয়: ডিএ কোনো রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর দয়ার ওপর নির্ভর করে না। এটি একটি নির্দিষ্ট ফর্মুলা মেনে দেওয়া হয়।

সাংবিধানিক অধিকার: কোনো মন্তব্য দিয়ে সরকারি কর্মীদের সাংবিধানিক অধিকার খর্ব করা সম্ভব নয়।

পালটা প্রশ্ন: যদি বাধ্যতামূলক না-ই হয়, তবে ১৮ শতাংশ ডিএ দেওয়া হচ্ছে কেন? ভাস্করবাবুর দাবি, তাঁরা ৪০ শতাংশ বকেয়া ডিএ আদায় করেই ছাড়বেন।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy