অযোধ্যার রাম মন্দিরে ধ্বজারোহণ (পতাকা উত্তোলন) নিয়ে সমালোচনা করায় পাকিস্তানকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেছে ভারত। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল প্রশ্ন তুলেছেন, অন্যকে উপদেশ দেওয়ার মতো পাকিস্তানের কী নৈতিক অধিকার আছে?
তিনি পাকিস্তানকে ধর্মান্ধতা, দমন-পীড়ন এবং সংখ্যালঘুদের প্রতি দুর্ব্যবহারের ‘কলঙ্কিত রেকর্ডের’ কথা উল্লেখ করেন। রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “পাকিস্তানের মন্তব্য আমাদের নজরে এসেছে। আমরা এটিকে প্রাপ্য অবজ্ঞার সঙ্গে প্রত্যাখ্যান করছি। ধর্মান্ধতা, দমন-পীড়ন এবং সংখ্যালঘুদের প্রতি পদ্ধতিগত দুর্ব্যবহারের মতো খারাপ রেকর্ড থাকা একটি দেশ হিসেবে পাকিস্তানের অন্যকে শেখানোর কোনো নৈতিকতা নেই।”
পাকিস্তানের সমালোচনা:
মঙ্গলবার, অযোধ্যায় অনুষ্ঠিত ধর্মীয় অনুষ্ঠানের সমালোচনা করে পাকিস্তান বিদেশ মন্ত্রক একটি সরকারি বিবৃতি জারি করেছিল। বিবৃতিতে ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর বাবরি মসজিদ ধ্বংসের কথা উল্লেখ করা হয় এবং এই ধ্বজারোহণকে ভারতে ইসলামোফোবিয়া এবং ঐতিহ্যের অবমাননার উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরা হয়। রাম মন্দির নির্মাণের অনুমতি দেওয়ায় দেশের সরকার ও বিচারব্যবস্থারও সমালোচনা করে পাকিস্তান। এটিকে সংখ্যালঘুদের প্রতি ভারতীয় প্রশাসনের বৈষম্যমূলক মনোভাব বলেও বর্ণনা করা হয়।
ভারতের পাল্টা জবাব:
এর জবাবে ভারত কড়া ভাষায় বলেছে, “ভণ্ডামিপূর্ণ বক্তৃতা দেওয়ার পরিবর্তে, পাকিস্তানের উচিত নিজের মানবাধিকারের সবচেয়ে খারাপ অবস্থার দিকে নজর দেওয়া।”
প্রসঙ্গত, শ্রী রাম জন্মভূমি মন্দিরের সমর্পণ আনুষ্ঠানিকভাবে সম্পন্ন হওয়ার চিহ্ন হিসেবে মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অযোধ্যার রাম মন্দিরের উপরে ধ্বজারোহণ করেন।