দীর্ঘ ২০ বছরের তিক্ততা এবং ১৭ বছর আলাদা থাকার পর একটি দাম্পত্য সম্পর্কের চূড়ান্ত ইতি টানল তেলেঙ্গানা হাই কোর্ট। বিচারপতি কে লক্ষ্মণ এবং বিচারপতি নরসিং রাও নন্দিকোন্ডার ডিভিশন বেঞ্চ পর্যবেক্ষণ করেছে যে, এই বিবাহিত সম্পর্কটি ‘সম্পূর্ণভাবে ভেঙে পড়েছে’। তাই বিচ্ছেদ মঞ্জুর করে আদালত নির্দেশ দিয়েছে, স্বামীকে আগামী তিন মাসের মধ্যে স্ত্রী ও সন্তানের ভবিষ্যতের জন্য এককালীন ৫০ লক্ষ টাকা ভরণপোষণ হিসেবে দিতে হবে।
মামলার বিবরণ অনুযায়ী, ২০০২ সালে ড্রোনামরাজু শ্রীকান্ত ফণি কুমার এবং ড্রোনামরাজু বিজয়া লক্ষ্মীর বিয়ে হয়েছিল। ২০০৩ সালে কন্যাসন্তানের জন্মের পর থেকেই তাঁদের মধ্যে বিবাদ শুরু হয় এবং তাঁরা আলাদা থাকতে শুরু করেন। ২০০৮ সালে স্বামী নিষ্ঠুরতার অভিযোগে ডিভোর্সের আবেদন করেন। অন্যদিকে, স্ত্রী সন্তানের ভবিষ্যতের কথা ভেবে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে আইনি লড়াই শুরু করেছিলেন। পারিবারিক আদালত ডিভোর্সের পক্ষে রায় দিলেও স্ত্রী তাকে চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টে যান।
দীর্ঘ শুনানি শেষে হাই কোর্ট জানিয়েছে, দীর্ঘ আইনি লড়াই এবং পারস্পরিক চরম অবিশ্বাসের জেরে এই সম্পর্ক আর জোড়া লাগার অবস্থায় নেই। জোর করে আইনি সম্পর্ক টিকিয়ে রাখলে কেবল তিক্ততাই বাড়বে। তাই বিবাদ মেটাতে আদালত এককালীন খোরপোশের নির্দেশ দিয়েছে। এই ৫০ লক্ষ টাকা পরিশোধ করার পর স্ত্রী বা কন্যা ভবিষ্যতে আর কোনও আর্থিক বা সম্পত্তিগত দাবি করতে পারবেন না।