দেশের বেকারত্বের শতকরা পরিসংখ্যান জানতে চেয়ে সম্প্রতি লোকসভায় প্রশ্ন তুলেছিলেন তৃণমূলের লোকসভা দলনেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রীয় সরকারের দেওয়া লিখিত জবাবে যে তথ্য সামনে এসেছে, তাতে যুব সমাজের বেকারত্বের পরিসংখ্যানকে রীতিমতো উদ্বেগজনক বলে মনে করা হচ্ছে।
গত পাঁচ বছরের বার্ষিক পিরিয়ডিক লেবার ফোর্স সার্ভের (PLFS) তথ্য অনুযায়ী, ১৫-২৯ বছর বয়সী যুব সমাজের বেকারত্বের হার যথেষ্ট বেশি। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সারা দেশে বেকারত্বের হার নিয়ে লিখিত প্রশ্ন করেছিলেন এবং গ্রাম-শহরভিত্তিক, নারী-পুরুষ, যুবসমাজ এবং রাজ্য ধরে বিস্তারিত তথ্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কাছ থেকে জানতে চেয়েছিলেন।
তাঁর লিখিত প্রশ্নের মূল বিষয় ছিল, গত কয়েক বছরে নারী ও যুবকদের মধ্যে বেকারত্ব কি উল্লেখযোগ্য ভাবে বেড়েছে এবং এর পাঁচ বছরের অগ্রগতি কী? এছাড়াও, কর্মীদের দক্ষতা বৃদ্ধি বা পুনর্দক্ষতার জন্য সরকার কী করেছে এবং কতজন উপকৃত হয়েছেন— সেই তথ্যও জানতে চাওয়া হয়।
শ্রম ও কর্মসংস্থান বিষয়ক রাষ্ট্রমন্ত্রী শোভা করন্দলাজে এই প্রশ্নের লিখিত উত্তর দেন।
কেন্দ্রের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী বেকারত্বের হার (১৫-২৯ বছর বয়সী যুবকদের):
২০১৯-২০ সালে: ১৫.০%
২০২০-২১ সালে: ১২.৯%
২০২১-২২ সালে: ১২.৪%
২০২২-২৩ সালে: ১০.০%
২০২৩-২৪ সালে: ১০.২%
এই পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রতি ১০ জন যুবকের মধ্যে ১ জন বেকার। তৃণমূল কংগ্রেস এই তথ্যকে তুলে ধরে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে প্রচার চালাচ্ছে।
অন্যদিকে, ১৫ বছর বা তার বেশি বয়সী সব ব্যক্তির স্বাভাবিক অবস্থার উপর বেকারত্বের হার (UR) ছিল ২০১৯-২০ সালে ৪.৮% এবং ২০২৩-২৪ সালে ৩.২%।
এছাড়াও, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নারী-পুরুষের বেকারত্বের হার নিয়েও লিখিতভাবে জানতে চান। কেন্দ্রের পরিসংখ্যানে উঠে এসেছে যে, শহরাঞ্চলে মহিলাদের বেকারত্ব গ্রামের তুলনায় বেশি। যদিও সরকার কর্মীদের দক্ষতা বৃদ্ধি বা পুনর্দক্ষতার জন্য কী পদক্ষেপ করেছে, সেই বিষয়ে বিশদ তথ্যের অপেক্ষায় রয়েছে ওয়াকিবহাল মহল।