‘সংখ্যালঘুদের শত্রু ভাবা হচ্ছে’, বাংলাদেশে ২ হিন্দু যুবককে পিটিয়ে খুনে ফুঁসছে ভারত!

বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর লাগাতার হামলা ও নির্যাতনের ঘটনায় এবার সুর চরম চড়াল ভারত। বিশেষ করে রাজবাড়ি ও ময়মনসিংহে দুই হিন্দু যুবককে পিটিয়ে ও পুড়িয়ে মারার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারতের বিদেশমন্ত্রক (MEA)। শুক্রবার এক সাংবাদিক বৈঠকে বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল স্পষ্ট ভাষায় জানান, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে ‘শত্রুতার পরিবেশ’ তৈরি করা হচ্ছে।

দিল্লির তীব্র নিন্দা ও চাঞ্চল্যকর পরিসংখ্যান: রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর অবিরাম বৈরিতা গভীর উদ্বেগের বিষয়। সাম্প্রতিক হত্যাকাণ্ডগুলোর আমরা তীব্র নিন্দা করছি।” ভারতের দাবি, বাংলাদেশের বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের জমানায় সংখ্যালঘুদের ওপর প্রায় ২,৯০০টি হিংসার ঘটনা ঘটেছে। এই পরিসংখ্যান তুলে ধরে নয়াদিল্লি জানিয়েছে, বাংলাদেশ সরকার এই ঘটনাগুলোকে যেভাবে ‘ভুল ব্যাখ্যা’ দিয়ে আড়াল করতে চাইছে, ভারত তা বারবার খারিজ করছে।

ময়মনসিংহে হাড়হিম করা নৃশংসতা: সম্প্রতি ময়মনসিংহে ২৭ বছর বয়সী পোশাক কর্মী দীপুচন্দ্র দাসকে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে গাছে বেঁধে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠেছে। অন্যদিকে, রাজবাড়িতে অমৃত মণ্ডল ওরফে সম্রাট নামে এক যুবককে ‘ডাকাত’ সন্দেহে পিটিয়ে মারা হয়। যদিও পুলিশের দাবি সম্রাট অপরাধী ছিল, কিন্তু ভারত এই ধরনের ‘গণপিটুনি’ ও ‘টার্গেট কিলিং’-এর বিচারবিভাগীয় তদন্ত ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছে।

ইউনূস সরকার ও তারেক জিয়ার প্রত্যাবর্তন: মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার এই ঘটনাগুলোকে ‘বিচ্ছিন্ন’ এবং ‘সাম্প্রদায়িক নয়’ বলে দাবি করলেও ভারত তাতে সন্তুষ্ট নয়। অন্যদিকে, ২০ বছর পর বিএনপি নেতা তারেক জিয়ার বাংলাদেশে ফেরা এবং জামাত-ই-ইসলামির সক্রিয়তা বৃদ্ধি নিয়ে সতর্ক নজর রাখছে নয়াদিল্লি। ভারতের মতে, বাংলাদেশে একটি অবাধ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন জরুরি, যেখানে সব ধর্মের মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy