রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার অবনতির আশঙ্কায় ‘বিস্ফোরক’ নেতা হুমায়ুন কবীরকে প্রেভেন্টিভ গ্রেফতারির (Preventive Arrest) নির্দেশ দিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এই মর্মে রাজ্য প্রশাসনকে চিঠি দিয়ে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। রাজ্যপালের এই নজিরবিহীন নির্দেশকে ঘিরে রাজনৈতিক মহলে চলছে তীব্র চাপানউতোর।
জাতীয় সড়ক দখলের হুমকি ও রাজ্যপালের নির্দেশ
হুমায়ুন কবীরের সাম্প্রতিক এক মন্তব্যের আবহে এই নির্দেশটি এসেছে, যেখানে তিনি ৬ তারিখ বেলডাঙায় বাবরি মসজিদের শিলান্যাস উপলক্ষে কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন।
হুমায়ুন কবীর একদিন আগেই বলেছিলেন, ৬ তারিখ রেজিনগর থেকে বহরমপুর পর্যন্ত জাতীয় সড়ক মুসলিমদের দখলে থাকবে।
তাঁর এই মন্তব্যের পরই জেলা প্রশাসনের কর্তাদের বিরুদ্ধে লাগাতার ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তিনি।
এই ‘বিস্ফোরক’ মন্তব্যের জেরে আইন-শৃঙ্খলার অবনতির আশঙ্কায় রাজ্যপাল তাঁকে প্রেভেন্টিভ গ্রেফতারির নির্দেশ দেন।
রাজ্যপালকে কড়া আক্রমণ হুমায়ুনের
রাজ্যপালের নির্দেশের পর হুমায়ুন কবীর তীব্র ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। তিনি সরাসরি রাজ্যপালের এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এবং তাঁকে বিজেপির দালাল বলে কটাক্ষ করেছেন:
“রাজ্যপাল ওনার এক্তিয়ারের বাইরে কথা বলছেন। এটা আমি মনে করি বাংলায় বাঙালিদের ভাষায় বিজেপির দালালি করা। রাজ্যপাল তো আইন-শৃঙ্খলা দেখার দায়িত্বে নেই। আইন-শৃঙ্খলা দেখার জন্য একটা নির্বাচিত সরকার রয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী রয়েছে…। আগাম গ্রেফতার করতে হবে কার স্বার্থে? পুলিশ যদি প্রমাণ পায় আমি কোনও জায়গায় আইন ভাঙছি, আমার দ্বারা আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হয় তাহলে নিশ্চয় পুলিশের এক্তিয়ার আছে আমাকে গ্রেফতার করার।”
মুখ্যমন্ত্রীর সভায় যোগদানের প্রস্তুতি
এদিকে ৬ তারিখ বেলডাঙায় বাবরি মসজিদের শিলান্যাসের জন্য জমি নিয়ে সাময়িক জটিলতা তৈরি হলেও, হুমায়ুন কবীর এখন বলছেন, “জমি রেডি আছে। শনিবার বেলা ১২টার সময় গোটা পৃথিবীর লোক দেখবে শিলান্যাসের অনুষ্ঠান।”
এই আবহে জেলা সফরে থাকা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভায় যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ পেয়েছেন হুমায়ুন। এদিন TV9 বাংলাকে তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর সভায় যাওয়ার জন্য আমি আমন্ত্রণ পেয়েছি তাই সেখানে না যাওয়ার কিছু নেই।” তবে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর সম্ভাব্য কথাবার্তার বিষয় নিয়ে তিনি আগাম কিছু বলতে রাজি হননি।