বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে সহবাস এবং আর্থিক প্রতারণার অভিযোগে পূর্ব যাদবপুর থেকে এক যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতের নাম সন্দীপন গড়াই, যাকে পূর্ব যাদবপুর থানার পুলিশ মঙ্গলবার গভীর রাতে গ্রেফতার করে। শুধু প্রতারণাই নয়, অভিযুক্ত সন্দীপন নির্যাতিতা তরুণীর দেড় লক্ষ টাকার গয়না এবং নগদ অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনার প্রেক্ষাপট
পুলিশ সূত্রে খবর, পূর্ব যাদবপুরের বাসিন্দা ওই তরুণীর সঙ্গে প্রায় এক বছর আগে সন্দীপনের পরিচয় হয়। নিজেকে ‘ইভেন্ট ম্যানেজার’ বলে পরিচয় দিয়ে তিনি তরুণীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ান এবং দ্রুত তাঁদের সম্পর্ক গভীর হয়। এরপর তাঁরা দু’জনে একসঙ্গে থাকতে শুরু করেন।
তরুণীর অভিযোগ, সেই সময় সন্দীপন তাঁকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দিনের পর দিন সহবাস করেন। একই সঙ্গে, ওই তরুণীর কাছ থেকে দফায় দফায় গয়না এবং নগদ টাকাও নেন যুবক। তরুণী দাবি করেছেন, সন্দীপন মোট দেড় লক্ষ টাকার গয়না ও অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন।
গ্রেফতার ও তদন্ত
সম্প্রতি দুজনের সম্পর্কের অবনতি হলে তরুণী ওই সমস্ত গয়না ও টাকা ফেরত চান। কিন্তু অভিযুক্ত সন্দীপন টাকা কিংবা গয়না ফেরত দিতে অস্বীকার করেন। অবশেষে তরুণী পূর্ব যাদবপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতেই পুলিশ মঙ্গলবার রাতে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে।
পুলিশ দাবি করেছে, ধৃত সন্দীপন গড়াইয়ের বিরুদ্ধে এই ধরনের প্রতারণার অভিযোগ নতুন নয়। তাঁর বিরুদ্ধে এর আগেও অনুরূপ একাধিক মামলা হয়েছে এবং বিধাননগর থানাতেও তাঁর নামে অভিযোগ রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
বুধবার ধৃতকে আলিপুর আদালতে তোলা হলে নির্যাতিতা তরুণীর পক্ষে সওয়াল করেন আইনজীবী অর্ঘ্য ঘোষ, রুদ্র ঘোষ এবং পীযূষ দে। বিচারক অভিযুক্ত যুবককে পুলিশি হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
কলকাতা পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, “গোটা ঘটনার তদন্ত চলছে। অভিযুক্তকে জেরার পাশাপাশি নির্যাতিতার সঙ্গে আলাদাভাবে মহিলা পুলিশ কর্মীরা কথা বলছেন। তদন্তে আরও নতুন তথ্য বেরিয়ে আসার সম্ভাবনাও রয়েছে।”