রাজ্যজুড়ে ভোটার তালিকা থেকে ৫৮ লক্ষ নাম বাদ পড়া নিয়ে যখন শোরগোল তুঙ্গে, তখন খোদ শাসকদলের বিধায়কের পরিবারেই থাবা বসালো এই তালিকা বিভ্রাট। মুর্শিদাবাদের ডোমকলে খসড়া তালিকা থেকে নাম বাদ গেল স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক জাফিকুল ইসলামের ভাইপো তথা প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা মেহবুব হাসানের। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই এখন উত্তপ্ত ডোমকলের রাজনীতি।
স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন (SIR)-এর খসড়া তালিকা প্রকাশের পর দেখা যায়, তালিকায় নাম নেই মেহবুব হাসানের। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই ক্ষোভ ফেটে পড়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। তাঁদের দাবি, কোনো যান্ত্রিক ত্রুটি নয়, বরং বিডিও এবং বিএলও (BLO) পরিকল্পিতভাবে ষড়যন্ত্র করে এই নাম বাদ দিয়েছেন। স্থানীয় তৃণমূল শিবিরের অভিযোগ, একজন সক্রিয় রাজনৈতিক নেতার নাম এভাবে বাদ যাওয়া অত্যন্ত রহস্যজনক।
বিডিও-র পাল্টা সাফাই
তৃণমূলের এই গুরুতর অভিযোগ অবশ্য সরাসরি নস্যাৎ করে দিয়েছেন ডোমকলের বিডিও। তিনি জানিয়েছেন:
নাম বাদ দেওয়ার পেছনে কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য বা পরিকল্পনা নেই।
নির্দিষ্ট নিয়ম এবং যাচাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই তালিকা তৈরি হয়েছে।
তৃণমূলের আনা সমস্ত অভিযোগ ‘ভিত্তিহীন’ বলেই দাবি করেছেন তিনি।
আগামী ২৩ ডিসেম্বর থেকে ভোটার তালিকা সংশোধন নিয়ে নির্বাচন কমিশনের শুনানি শুরু হওয়ার কথা। তার আগেই ডোমকলের এই ঘটনা প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক মহলে বড়সড় প্রশ্ন তুলে দিল। রাজনৈতিক মহলের মতে, যদি বিধায়কের পরিবারের সদস্যের নামই বাদ পড়তে পারে, তবে সাধারণ ভোটারদের মধ্যে হয়রানির আশঙ্কা আরও প্রবল।
এখন দেখার, আসন্ন শুনানিতে মেহবুব হাসান তাঁর নাম তালিকায় ফেরাতে পারেন কি না এবং বিডিও-র বিরুদ্ধে তৃণমূলের এই লড়াই কোন মোড় নেয়।