বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী না কি তৃণমূলের কারচুপি? লছিপুরের ভোটার তালিকা ঘিরে তুঙ্গে বিতর্ক

আসানসোলের কুলটি বিধানসভা কেন্দ্রের নিষিদ্ধপল্লি এলাকায় ভোটার তালিকা ঘিরে দানা বেঁধেছে বড়সড় রহস্য। স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন (SIR)-এর খসড়া তালিকা প্রকাশ হতেই দেখা যাচ্ছে, চবকা ও লছিপুরের চারটি বুথে প্রায় ৪০ শতাংশ ভোটারের তথ্যে চরম গরমিল রয়েছে। এর মধ্যে ২০ শতাংশ বা ৭৪২ জনের নাম সরাসরি তালিকা থেকে বাদ পড়েছে। এই বিপুল সংখ্যক ‘নিখোঁজ’ ভোটারকে ঘিরেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।

বিজেপির অভিযোগ, এই ভোটাররা আসলে ছিলই না। আসানসোল সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সম্পাদক কেশব পোদ্দার দাবি করেছেন, “তৃণমূল ভোটে জেতার জন্য ভুতুড়ে ভোটার ও বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ঢুকিয়ে রেখেছিল। এসআইআর-এর কড়াকড়ি দেখে তারা এখন পালিয়েছে।” অন্যদিকে, তৃণমূল এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে দোষ চাপিয়েছে বিএলও-দের ওপর। জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি পূর্ণেন্দু রায়ের দাবি, পরিচয় গোপন রাখার তাগিদে অনেক যৌনকর্মী হয়তো তথ্য দেননি, অথবা বিএলও-রা বাড়ি বাড়ি যাননি।

বিএলও-রা অবশ্য জানাচ্ছেন, তাঁরা বারবার গিয়েও ওই ভোটারদের খুঁজে পাননি। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে ভোটার কার্ডের ঠিকানায় এখন অন্য লোক বসবাস করছেন, আর পুরোনো ভাড়াটেদের কোনো হদিস নেই। ১১৩ থেকে ১১৬ নম্বর বুথের এই চিত্র এখন নির্বাচন কমিশনেরও মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। নিখোঁজ ভোটারদের হিয়রিং-এ ডাকা হলেও তাঁরা আদৌ উপস্থিত হবেন কি না, তা নিয়ে গভীর সন্দেহ রয়েছে।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy