‘বাঁচতে চাই, বিজেপি বাই!’ মোদীর স্লোগান তুড়িতে উড়িয়ে ভোটের রণকৌশল বাতলে দিলেন অভিষেক

আগামী ২০২৬-এর বিধানসভা নির্বাচনকে স্রেফ নির্বাচন নয়, বরং ‘যুদ্ধ’ হিসেবে দেখছে ঘাসফুল শিবির। এসআইআর (SIR) প্রক্রিয়া চলাকালীনই ১লা জানুয়ারি থেকে রাজ্যজুড়ে নতুন রাজনৈতিক কর্মসূচি ‘বাংলার সমর্থনের সংযোগ’ শুরু করার নির্দেশ দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার দলের প্রায় ১৫ হাজার নেতা ও পদাধিকারীদের নিয়ে আয়োজিত ভার্চুয়াল বৈঠকে তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন—বিশ্রাম নেওয়ার সময় এখন নয়।

১৮০০ ইনফ্লুয়েন্সার ও নতুন রণকৌশল: অভিষেক জানিয়েছেন, এই কর্মসূচিতে রাজ্যের প্রায় ১৮০০ প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব বা ‘ইনফ্লুয়েন্সার’-কে কাজে লাগানো হবে। গত ১৫ বছরের উন্নয়নের রিপোর্ট কার্ড পৌঁছে দেওয়া হবে তাঁদের কাছে। প্রতিটি জেলার কাজের তদারকির জন্য নিয়োগ করা হবে একজন করে ‘কো-অর্ডিনেটর’, যাঁরা অভিষেকের ‘চোখ-কান’ হিসেবে সরাসরি রিপোর্ট দেবেন। আগামী ২রা জানুয়ারি থেকে অভিষেক নিজেও এই জনসংযোগ অভিযানে শামিল হবেন।

মোদীকে পালটা চ্যালেঞ্জ ও নয়া স্লোগান: বাংলা সফরে এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী স্লোগান দিয়েছিলেন, ‘বাঁচতে চাই, বিজেপি তাই’। এদিন তার তীব্র পাল্টা দিয়ে অভিষেক বলেন, “বাঁচাতে চাই মানেই ওরা মারতে চাইছে। আমাদের স্লোগান হবে—বাঁচতে চাই, বিজেপি বাই। ২০২৯-এর ভিত্তিপ্রস্তর হলো ২০২৬। তাই সবাইকে বলতে হবে, মানবে না হার, তৃণমূল আবার।”

নেতা-কর্মীদের প্রতি কড়া নির্দেশ: জনসংযোগের ক্ষেত্রে কর্মীদের সংযত হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন অভিষেক। তিনি বলেন, “কথা বলার সময় কোনও ঔদ্ধত্য নয়। আপনার ব্যবহারে যেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংগ্রাম ফুটে ওঠে।” এছাড়া নিচুতলার কর্মী বা বিএলএ-২ দের পা ছুঁয়ে প্রণাম করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। প্রচার চলাকালীন নেতাদের বিলাসবহুল হোটেলে নয়, বরং স্থানীয় কর্মীদের বাড়িতে পাত পেড়ে খাওয়ার নির্দেশও দিয়েছেন তৃণমূলের এই সেনাপতি।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy