ক্রিসমাসের সকালে সান্তাক্লজ নয়, বরং হাড়কাঁপানো উত্তুরে হাওয়া ঝুলি ভরে নিয়ে এলো মরশুমের সেরা শীত। আজ, ২৫ ডিসেম্বর তিলোত্তমায় রেকর্ড ঠান্ডা! আলিপুর আবহাওয়া দফতরের হিসেব অনুযায়ী, আজ কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমে গিয়েছে ১৩.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। যা চলতি মরশুমের শীতলতম দিন তো বটেই, এমনকি স্বাভাবিকের থেকেও প্রায় ১ ডিগ্রি কম।
আবহাওয়াবিদদের পূর্বাভাস বলছে, শীতের এই দাপট এখানেই থামছে না। আগামীকাল অর্থাৎ শুক্রবার কলকাতার তাপমাত্রা আরও ২-৩ ডিগ্রি কমতে পারে। অর্থাৎ বড়দিন পরবর্তী সময়ে পারদ ১২ ডিগ্রির ঘরে নেমে যাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। পশ্চিমী ঝঞ্ঝার বাধা কেটে যাওয়ায় অবাধে প্রবেশ করছে শীতল উত্তুরে হাওয়া, আর তাতেই কুপোকাত বাংলা। শুধু কলকাতা নয়, দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতেও জাঁকিয়ে শীত পড়েছে। শ্রীনিকেতনে আজ পারদ নেমেছে ৮.৫ ডিগ্রিতে, যা দক্ষিণবঙ্গের সমতলে সর্বনিম্ন।
অন্যদিকে উত্তরবঙ্গেও শীতের কামড় মারাত্মক। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারে দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় ৫ ডিগ্রি পর্যন্ত কম থাকতে পারে। ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ছে ডুয়ার্স। দার্জিলিংয়ের তাপমাত্রা আজ ৪.৫ ডিগ্রিতে পৌঁছেছে। পাহাড়ে কনকনে ঠান্ডার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সমতলের জেলাগুলোতেও কুয়াশার দাপট থাকবে। দৃশ্যমানতা কম থাকায় সড়ক ও রেলপথে যাতায়াতের ক্ষেত্রে সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে।
বর্ষশেষে কি আরও বাড়বে শীত? হাওয়া অফিসের ইঙ্গিত, আগামী ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত তাপমাত্রার এই নিম্নমুখী গ্রাফ বজায় থাকবে। এরপর রবিবার থেকে বছরের শেষ দিন পর্যন্ত তাপমাত্রা খুব একটা না বাড়লেও কনকনে ভাব বজায় থাকবে। অর্থাৎ, ২০২৫-কে বিদায় জানাতে এবং নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে বাংলার মানুষের জন্য সেরা সঙ্গী হতে চলেছে এই হাড়কাঁপানো শীত।