বাংলাদেশের মাটি ফের একবার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল। বৃহস্পতিবার ভোরে স্থানীয় সময় সকাল ৬টা ১৪ মিনিটে এই মৃদু কম্পন অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৪.১। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে ঘন ঘন ভূমিকম্প হওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে তীব্র আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।
📌 ঢাকার পার্শ্ববর্তী জেলায় কেন্দ্র:
European-Mediterranean Seismological Centre-কে উদ্ধৃত করে সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির কেন্দ্রস্থল ছিল আবারও নরসিংদীতে, যা মাটির ৩০ কিলোমিটার গভীরে। মৃদু হলেও রাজধানী ঢাকা এবং তার পার্শ্ববর্তী জেলাগুলিতেও কম্পনটি ভালোভাবেই অনুভূত হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত কোনো বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
📌 কেন এত আতঙ্ক?
গত মাসে, ৫.৭ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্পে বাংলাদেশে ১০ জন নিহত হয়েছিলেন এবং সেই কম্পন পশ্চিমবঙ্গের কলকাতাতেও জোরালোভাবে অনুভূত হয়েছিল। সেই ঘটনার অভিজ্ঞতা থেকেই এই বেলার মৃদু কম্পনেও আতঙ্কিত হয়ে পড়েন বাসিন্দারা।
দ্য ডেইলি স্টার সংবাদপত্রের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতীয়, মায়ানমার এবং ইউরেশিয়ান—এই তিনটি টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থলে বাংলাদেশ অবস্থিত হওয়ায় দেশটি এমনিতেই বিশেষ ভূমিকম্পপ্রবণ।
⚠️ ঢাকার বিপদ:
ভূমিকম্পের উৎসস্থল খুব গভীরে না-হওয়ায় ঢাকা ও আশেপাশের এলাকাগুলি কেঁপে উঠেছে। পরিসংখ্যান বলছে, ১৮৬৯ থেকে ১৯৩০ সালের মধ্যে এই অঞ্চলে রিখটার স্কেলে ৭.০-এর উপরে পাঁচটি বড় কম্পন হয়েছে। ঢাকা বিশ্বের ২০টি ভূমিকম্প-ঝুঁকিপূর্ণ শহরের মধ্যে অন্যতম। ঘনবসতিপূর্ণ এবং বহু পুরনো বিপজ্জনক ভবনে ভরা এই শহরে শক্তিশালী ভূমিকম্প হলে বিরাট ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।