কলকাতার গিরিশ পার্কে পাইলট প্রশিক্ষণ নেওয়া এক যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। নিজের বাড়ি থেকে সামান্য দূরে একটি পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে ওই যুবকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে। মৃতের নাম সৌমাদিত্য কুন্ডু।
ঘটনার বিবরণ:
প্রশিক্ষণ: পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সৌমাদিত্য গত এক বছর ধরে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রিটোরিয়াতে অ্যাভিয়েশন এবং পাইলট ট্রেনিং নিচ্ছিলেন এবং সম্প্রতি প্রশিক্ষণ প্রায় শেষ করে শহরে ফিরেছিলেন।
দেহ উদ্ধার: বুধবার বিকেলে সৌমাদিত্য বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। এরপর আর ফোনে তাঁকে পাওয়া যায়নি। বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে একটি পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
মামলা: এই ঘটনায় গিরিশ পার্ক থানার পুলিশ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা (Unnatural Death case) রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে।
রহস্য ঘনীভূত হওয়া কারণ:
যুবকের ব্যবহৃত কিছু জিনিসপত্র নিয়ে রহস্য তৈরি হয়েছে, যা তদন্তকে গভীর করেছে:
ট্যাবে ‘LOST’ লেখা: সৌমাদিত্যর ব্যবহার করা ট্যাবের পিছনে বড় করে ‘LOST’ লেখা ছিল।
ট্যাব আনলক: তিনি ট্যাবটি বাড়িতে রেখে যান এবং সেটি পাসওয়ার্ড আনলক করা অবস্থায় ছিল।
ট্যাবের পিছনে কেন ‘LOST’ লেখা ছিল, কেন তিনি ট্যাবটি আনলক করে বাড়িতে রেখে গেলেন—এইসব প্রশ্নই তদন্তকারী আধিকারিকদের ভাবাচ্ছে।
পুলিশের তদন্তের গতিপ্রকৃতি:
পুলিশ জোরকদমে তদন্ত শুরু করেছে। সৌমাদিত্য আত্মহত্যা করেছেন, নাকি এর পিছনে অন্য কোনও রহস্য রয়েছে, তা জানার চেষ্টা চলছে।
মানসিক অবসাদ: তদন্তকারী আধিকারিকরা খতিয়ে দেখছেন, যুবক কি কোনও কারণে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন বা অন্য কোনও সমস্যায় ছিলেন?
পরিবারের জিজ্ঞাসাবাদ: মৃতের পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ছেলের এমন মর্মান্তিক পরিণতি মেনে নিতে না পেরে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন সৌমাদিত্যর বাবা।
এলাকায় শোকের ছায়া: তরুণ, উচ্চাকাঙ্ক্ষী যুবকের এমন মৃত্যুতে গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে এবং সকলে হতবাক।
পুলিশ সব দিক ভালোভাবে খতিয়ে দেখছে এবং ঠিক কী ঘটেছিল, কেন সৌমাদিত্যর এমন পরিণতি হল, তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছে।