শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র বাংলাদেশ। দেশজুড়ে চলা নজিরবিহীন হিংসা, অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনায় তীব্র উদ্বেগ প্রকাশ করলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শুক্রবার দলের স্থায়ী কমিটির জরুরি বৈঠক শেষে তিনি দাবি করেন, একটি চিহ্নিত মহল পরিকল্পিতভাবে দেশকে নৈরাজ্যের পথে ঠেলে দিয়ে গণতান্ত্রিক উত্তরণ ও আগামী ২২ ফেব্রুয়ারির জাতীয় নির্বাচন নস্যাৎ করতে চাইছে।
মির্জা ফখরুল এই অশান্তির আবহে একাধিক নৃশংস ঘটনার নিন্দা জানান। বিশেষ করে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে এক হিন্দু যুবককে গাছে ঝুলিয়ে পিটিয়ে ও পুড়িয়ে মারার ঘটনাকে ‘ন্যক্কারজনক’ ও ‘ঘৃণ্য’ বলে অভিহিত করেন তিনি। একইসঙ্গে ‘প্রথম আলো’, ‘ডেইলি স্টার’ অফিসে হামলা, নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীরকে হেনস্থা এবং ভারতীয় হাই কমিশনে হামলার ঘটনায় অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। ফখরুলের অভিযোগ, সরকারের নাকের ডগায় এসব ঘটলেও তাদের ভূমিকা সন্তোষজনক নয়, যা বিদেশের মাটিতে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করছে। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “ফ্যাসিবাদের নতুন সংস্করণ প্রতিষ্ঠার এই অপশক্তিকে ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দিতে হবে।”