দিল্লি-লখনউ হাইওয়ের কাছে নাকাটিয়া নদীর সেতুর নীচে একটি রহস্যজনক লাল বাক্সের ভেতর থেকে ৮-১০ বছর বয়সী একটি ছেলে শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার হওয়ার ঘটনায় এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
ঘটনার সূত্রপাত:
নদীর ধার দিয়ে যাওয়া এক ব্যক্তি প্রথম সন্দেহজনক লাল বাক্সটি দেখতে পান।
স্থানীয়রা কৌতূহলী হয়ে বাক্সটি খুলতেই ভেতরে ভয়াবহ দৃশ্য দেখেন।
নৃশংসতার ইঙ্গিত
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শিশুটিকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে।
মৃতদেহ সজ্জা: মৃতদেহটি দেখে বোঝা যায় যে শিশুটিকে ইচ্ছাকৃতভাবে বাক্সের ভেতরে রাখা হয়েছিল। কারণ তার মাথার নিচে একটি কম্বল এবং একটি ছোট বালিশ রাখা ছিল।
খাবারের প্রলোভন: বাক্সের ভেতরে খাবার, বিস্কুট, চিপস এবং অন্যান্য খাবারের প্যাকেটও পাওয়া গেছে, যা দেখে পুলিশ অনুমান করছে যে শিশুটিকে সম্ভবত মারার আগে খাবারের প্রলোভন দেখানো হয়েছিল।
শারীরিক চিহ্ন: পুলিশ জানিয়েছে, ছেলেটির বাম চোখ উপড়ে ফেলা হয়েছে এবং তার ঘাড়ে ছোটখাটো আঁচড়ের চিহ্ন ছিল। শিশুটিকে নৃশংসভাবে নির্যাতন করা হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা যাচ্ছে।
পুলিশি তদন্ত
ঘটনার খবর পেয়ে ইজ্জতনগর পুলিশ, ফরেনসিক দল সহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মানুশ পারিক জানান, প্রাথমিক তদন্তে এটি একটি খুন বলে ইঙ্গিত করা হয়েছে।
ফরেনসিক সংগ্রহ: ফরেনসিক দল বাক্স, কম্বল সংগ্রহ করেছে এবং আশেপাশের এলাকা থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছে।
মৃত্যুর কারণ: ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
গুপ্তচরবৃত্তির সন্দেহ: বাক্সে পাওয়া কিছু জিনিসের কারণে পুলিশ এটিকে গুপ্তচরবৃত্তির সাথে সম্পর্কিত কার্যকলাপ হিসেবেও সন্দেহ করে তদন্ত করছে।
সিসিটিভি ফুটেজ: ঘটনাস্থলের কাছাকাছি জায়গাগুলির সিসিটিভি ফুটেজ তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, মামলাটি খুবই সাবধানতার সাথে তদন্ত করা হচ্ছে।
প্রাথমিক ধারণা, শিশুটিকে অন্য কোথাও মেরে তারপর তার মৃতদেহ এখানে ফেলে দেওয়া হয়েছে।